যখন তুমি পড়তে থাকো সুবোধ বালকের মত,
তখন তোমার ভিতরকার অমানুষটা কোথায় থাকে?
যখন তুমি পড়া ছেড়ে সহপাঠীর উপর চড়াও হও,
তখন তোমার ভিতরকার মানুষটা কোথায় থাকে?
যখন তুমি লক্ষ চুমুর দাগ কাটো সন্তানের গলায়,
তখন তোমার ভিতরকার অমানুষটা কোথায় থাকে?
যখন তুমি নিজের স্বার্থে ছুরি চালাও সন্তানের গলায়,
তখনই বা তোমার ভিতরকার মানুষটা কোথায় থাকে?
তোমার ভিতরকার মানুষটা কখন ঘুমায়, কখন জাগে?
খুব জানতে ইচ্ছে করে, খু-উ-ব।

যখন তুমি দেশ নিয়ে কথা বলো, আশার ফানুস উড়াও,
তখন তোমার ভিতরকার জালিমটা, কোথায় থাকে?
যখন তুমি উন্নয়নের কথা বলো, প্রকল্পের পর প্রকল্প দাও,
তখন তোমার লুটে খাওয়ার লিপ্সাটা কোথায় থাকে?
যখন তুমি ভাষণে ভাষণে আশাহত মানুষকে আশা দাও,
তখন তোমার ভিতরের মানুষটা কি উপহাসের হাসি দেয়?
যখন তুমি ক্ষমতায় চড়ে আস্ফালন দেখাও চোখ রাঙ্গিয়ে,
তখন তোমার অতীত ইতিহাস মনে পড়ে না, ভুলে যাও?
তোমার ভিতরকার মানুষটা তখন কী ঘুমায়, না জেগে থাকে?
খুব জানতে ইচ্ছে করে, খু-উ-ব।

তুমি যখন সমাজের চোখে বিরল দৃষ্টান্ত, মুকুট হয়ে অবস্থান কর,
তখন তোমার ভিতরের শয়তানী কামনাটা কেমন করে?
যখন তুমি জাতির বিবেক সেজে শিক্ষা দাও, আলোর পথ দেখাও,
তখন তোমার ভিতরের বিবেকটা কী যাত্রার বিবেকের ন্যায় কাদে?
তুমি যখন সমাজের দর্পণ হয়ে বিরাজ করো, সকলের মনে-প্রাণে,
তখন তোমার ভিতরের দর্পণ কী মৃদু বাতাশে কেপে কেপে ওঠে?
তুমি যখন সমাজে নমস্য, পূজনীয়, আরাধ্য, উপাস্য হয়ে বিরাজ কর
তখন তোমার ভিতরকার ধরম ধুরন্ধরতা অট্ট হাসিতে কী বিদ্রুপ করে?
তোমার ভিতরকার মানুষটা তখন কী ঘুমায়, না জেগে থাকে?
খুব জানতে ইচ্ছে করে, খু-উ-ব।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here