জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ আইন, ২০১৮
( ২০১৮ সনের ৪৯ নং আইন )
[৮ অক্টোবর, ২০১৮]
National Sports Council Act, 1974 রহিতক্রমে উহার বিধানাবলি বিবেচনাক্রমে সময়ের চাহিদার প্রতিফলনে নূতন আইন প্রণয়নকল্পে প্রণীত আইন
যেহেতু National Sports Council Act, 1974 (Act No. LVII of 1974) রহিতক্রমে উহার বিধানাবলি বিবেচনাক্রমে সময়ের চাহিদার প্রতিফলনে নূতন আইন প্রণয়ন করা সমীচীন ও প্রয়োজনীয়;

সেহেতু এতদ্দ্বারা নিম্নরূপ আইন করা হইল :-

সূচী
ধারাসমূহ
১। সংক্ষিপ্ত শিরোনাম ও প্রবর্তন
২। সংজ্ঞা
৩। পরিষদ প্রতিষ্ঠা
৪। পরিষদের কার্যাবলি
৫। ক্রীড়া সংস্থা ও স্থানীয় ক্রীড়া সংস্থার স্বীকৃতি প্রদান
৬। ক্রীড়া ঘোষণা
৭। সাধারণ পরিষদ গঠন
৮। চেয়ারম্যান
৯। ভাইস-চেয়ারম্যান
১০। সাধারণ পরিষদের সভা ও কার্যাবলি
১১। সাধারণ পরিচালনা ও প্রশাসন
১২। কার্যনির্বাহী কমিটি
১৩। কার্যনির্বাহী কমিটির সভা
১৪। সচিব
১৫। কোষাধ্যক্ষ
১৬। কর্মচারী নিয়োগ
১৭। তহবিল
১৮। বাজেট
১৯। হিসাবরক্ষণ ও নিরীক্ষা
২০। প্রতিবেদন
২১। এ্যাডহক কমিটি নিয়োগ, ইত্যাদি
২২। কতিপয় সংস্থার সভাপতি নিয়োগে সরকারের ক্ষমতা
২৩। জাতীয় ক্রীড়া সংস্থার দায়িত্ব
২৪। সরকারের নির্দেশনা প্রদানের ক্ষমতা
২৫। তপশিল সংশোধনের ক্ষমতা
২৬। বিধি প্রণয়নের ক্ষমতা
২৭। প্রবিধান প্রণয়নের ক্ষমতা
২৮। রহিতকরণ ও হেফাজত
২৯। ইংরেজিতে অনূদিত পাঠ প্রকাশ
তফসিল
Copyright © 2010, Legislative and Parliamentary Affairs Division
Ministry of Law, Justice and Parliamentary Affairs

 

 

জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ আইন, ২০১৮
( ২০১৮ সনের ৪৯ নং আইন )
[৮ অক্টোবর, ২০১৮]
     
National Sports Council Act, 1974 রহিতক্রমে উহার বিধানাবলি বিবেচনাক্রমে সময়ের চাহিদার প্রতিফলনে নূতন আইন প্রণয়নকল্পে প্রণীত আইন
যেহেতু National Sports Council Act, 1974 (Act No. LVII of 1974) রহিতক্রমে উহার বিধানাবলি বিবেচনাক্রমে সময়ের চাহিদার প্রতিফলনে নূতন আইন প্রণয়ন করা সমীচীন ও প্রয়োজনীয়;

সেহেতু এতদ্দ্বারা নিম্নরূপ আইন করা হইল :-

সংক্ষিপ্ত শিরোনাম ও প্রবর্তন
১। (১) এই আইন জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ আইন, ২০১৮ নামে অভিহিত হইবে।

(২) ইহা অবিলম্বে কার্যকর হইবে।

সংজ্ঞা
২। বিষয় বা প্রসঙ্গের পরিপন্থি কোনো কিছু না থাকিলে, এই আইনে-

(১) ‘‘কার্যনির্বাহী কমিটি’’ অর্থ ধারা ১২ এর অধীন গঠিত পরিষদের কার্যনির্বাহী কমিটি;

(২) ‘‘ক্রীড়া’’ অর্থ এক ধরনের খেলা যাহা মন, দেহ ও বুদ্ধিবৃত্তিক উৎকর্ষ সাধন করে এবং যাহা শৃঙ্খলাবদ্ধ, উন্মুক্ত, ঐচ্ছিক, পেশাদারিত্বপূর্ণ ও প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক, এবং ধারা ৬ এর অধীন সরকার কর্তৃক ঘোষিত ক্রীড়াও উহার অন্তর্ভুক্ত হইবে;

(৩) ‘‘ক্রীড়া সংস্থা’’ অর্থ জাতীয় ও স্থানীয় পর্যায়ে ক্রীড়া কার্যক্রম পরিচালনার লক্ষ্যে গঠিত ফেডারেশন, অ্যাসোসিয়েশন, বোর্ড ও অন্যান্য সংস্থা;

(৪) ‘‘চেয়ারম্যান’’ অর্থ পরিষদের চেয়ারম্যান;

(৫) ‘‘জাতীয় ক্রীড়া সংস্থা’’ অর্থ ধারা ৫(১) এর অধীন স্বীকৃত এবং তপশিলে উল্লিখিত ক্রীড়া সংস্থা;

(৬) ‘‘তপশিল’’ অর্থ এই আইনের তপশিল;

(৭) ‘‘পরিষদ’’ অর্থ ধারা ৩ এর অধীন প্রতিষ্ঠিত জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ;

(৮) ‘‘প্রবিধান’’ অর্থ এই আইনের অধীন প্রণীত প্রবিধান;

(৯) ‘‘বিধি’’ অর্থ এই আইনের অধীন প্রণীত বিধি;

(১০) ‘‘ভাইস-চেয়ারম্যান’’ অর্থ পরিষদের ভাইস-চেয়ারম্যান;

(১১) ‘‘সচিব’’ অর্থ পরিষদের সচিব;

(১২) ‘‘সভাপতি’’ অর্থ সাধারণ পরিষদ ও কার্যনির্বাহী কমিটির সভাপতি;

(১৩) ‘‘সহ-সভাপতি’’ অর্থ সাধারণ পরিষদ ও কার্যনির্বাহী কমিটির সহ-সভাপতি;

(১৪) ‘‘সাধারণ পরিষদ’’ অর্থ ধারা ৭ এর অধীন গঠিত সাধারণ পরিষদ;

(১৫) ‘‘স্থানীয় ক্রীড়া সংস্থা’’ অর্থ বিভাগীয়, জেলা ও উপজেলা ক্রীড়া সংস্থা।

পরিষদ প্রতিষ্ঠা
৩। (১) National Sports Council Act, 1974 (Act No. LVII of 1974) এর অধীন প্রতিষ্ঠিত জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ (National Sports Council) এমনভাবে বহাল থাকিবে যেন উহা এই আইনের অধীন প্রতিষ্ঠিত হইয়াছে।

(২) পরিষদ একটি সংবিধিবদ্ধ সংস্থা হইবে এবং ইহার স্থায়ী ধারাবাহিকতা ও একটি সাধারণ সীলমোহর থাকিবে এবং এই আইনের বিধানাবলি সাপেক্ষে, ইহার স্থাবর ও অস্থাবর উভয় প্রকার সম্পত্তি অর্জন করিবার, অধিকারে রাখিবার ও হস্তান্তর করিবার ক্ষমতা থাকিবে এবং পরিষদ ইহার নিজ নামে মামলা দায়ের করিতে পারিবে এবং উক্ত নামে ইহার বিরুদ্ধেও মামলা দায়ের করা যাইবে।

পরিষদের কার্যাবলি
৪। এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে পরিষদের কার্যাবলি হইবে নিম্নরূপ, যথা :-

(১) দেশের ক্রীড়া উন্নয়ন এবং ক্রীড়া কর্মকাণ্ডের সমন্বয় সাধন;

(২) আন্তর্জাতিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের জন্য ক্রীড়া সংস্থার প্রশিক্ষণ ও অনুশীলনের পরিকল্পনা প্রণয়ন এবং বাস্তবায়ন;

(৩) স্টেডিয়াম, ব্যায়ামাগার, সুইমিংপুল, খেলার মাঠ এবং প্রশিক্ষণ ও অনুশীলন কেন্দ্রসহ বিভিন্ন ক্রীড়া স্থাপনা নির্মাণ ও রক্ষণাবেক্ষণ;

(৪) ক্রীড়াক্ষেত্রে সকল পর্যায়ের ক্রীড়াবিদ, প্রশিক্ষক, রেফারি, ফিজিও, পুষ্টিবিদ ও ক্রীড়া চিকিৎসকদের যথাযথ প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা গ্রহণ;

(৫) ক্রীড়া সংস্থার স্বীকৃতি প্রদান;

(৬) জাতীয় ক্রীড়া সংস্থা বা অন্য কোনো ক্রীড়া সংস্থার জন্য আদর্শ গঠনতন্ত্র প্রণয়ন;

(৭) ক্রীড়া কর্মকাণ্ডের জন্য জাতীয় ক্রীড়া সংস্থা, স্থানীয় ক্রীড়া সংস্থা ও অন্যান্য ক্রীড়া সংস্থাকে অনুদান প্রদান এবং স্টেডিয়াম, সুইমিংপুল ও ব্যায়ামাগার নির্মাণের জন্য সহায়তা প্রদান ও উহাদের নিরীক্ষিত হিসাবের প্রতিবেদন তলব, পরীক্ষা ও যাচাই-বাছাইকরণ;

(৮) বাংলাদেশের জাতীয় ঐতিহ্য ও এতদঞ্চলের অধিবাসীদের যাপিত জীবনের বিবর্তনের ধারা বহনকারী হিসাবে লোকজ ক্রীড়া চর্চা ও উহার পৃষ্ঠপোষকতা এবং বহির্বিশ্বে উহার প্রচার ও প্রসারে বিভিন্ন প্রীতি ও প্রতিযোগিতামূলক আসরের আয়োজন;

(৯) আন্তর্জাতিক ক্রীড়া অ্যাসোসিয়েশন, ফেডারেশন বা অনুরূপ কোনো সমিতিতে জাতীয় ক্রীড়া সংস্থার অন্তর্ভুক্তি বিবেচনা ও অনুমোদন;

(১০) বিদেশগামী ক্রীড়াদল এবং সহগামী কর্মচারীগণের তালিকা অনুমোদন;

(১১) ক্রীড়া ও ক্রীড়াবিদদের বিষয়ে তথ্য ভাণ্ডার তৈরিসহ পুস্তক, সাময়িকী, পুস্তিকা, ইত্যাদি প্রকাশ;

(১২) অসচ্ছল ক্রীড়াবিদদের আর্থিক সাহায্য ও সহযোগিতা প্রদান;

(১৩) জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ পুরস্কার প্রদান; এবং

(১৪) সরকার কর্তৃক, সময় সময় প্রদত্ত নির্দেশনা সাপেক্ষে, উহার উপর অর্পিত অন্যান্য দায়িত্ব পালন।

ক্রীড়া সংস্থা ও স্থানীয় ক্রীড়া সংস্থার স্বীকৃতি প্রদান
৫। (১) পরিষদ, বিধি দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতিতে, ক্রীড়া সংস্থাকে জাতীয় ক্রীড়া সংস্থা হিসাবে স্বীকৃতি ও সনদ প্রদান করিতে পারিবে।

(২) স্থানীয় ক্রীড়া সংস্থা গঠিত হইবার সঙ্গে সঙ্গে স্বয়ংক্রিয়ভাবে পরিষদ কর্তৃক স্বীকৃত বলিয়া গণ্য হইবে।

ক্রীড়া ঘোষণা
৬। এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে সরকার, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, যে কোনো খেলাকে ক্রীড়া হিসাবে ঘোষণা করিতে পারিবে।
সাধারণ পরিষদ গঠন
৭। (১) এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে নিম্নবর্ণিত সদস্য সমন্বয়ে সাধারণ পরিষদ গঠিত হইবে, যথা : –

(ক) চেয়ারম্যান, যিনি ইহার সভাপতিও হইবেন;

(খ) ভাইস-চেয়ারম্যান, যিনি ইহার সহ-সভাপতিও হইবেন;

(গ) সচিব, যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়;

(ঘ) সচিব, অর্থ বিভাগ, অর্থ মন্ত্রণালয়;

(ঙ) সচিব, পরিকল্পনা বিভাগ, পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়;

(চ) সচিব, জননিরাপত্তা বিভাগ, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়;

(ছ) সচিব, সুরক্ষা সেবা বিভাগ, স্বরাষ্ট মন্ত্রণালয়;

(জ) সচিব, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ, শিক্ষা মন্ত্রণালয়;

(ঝ) সচিব, কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষা বিভাগ, শিক্ষা মন্ত্রণালয়;

(ঞ) সচিব, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়;

(ট) সচিব, সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়;

(ঠ) সচিব, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ, ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়;

(ড) সচিব, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়;

(ঢ) সচিব, জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ;

(ণ) সভাপতি, বাংলাদেশ অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশন;

(ত) মহাপরিচালক, বাংলাদেশ ক্রীড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠান;

(থ) পরিচালক, ক্রীড়া পরিদপ্তর;

(দ) জাতীয় ক্রীড়া সংস্থাসমূহের সভাপতি বা সাধারণ সম্পাদক;

(ধ) সকল বিভাগীয় ক্রীড়া সংস্থার সম্পাদক এবং জেলা ক্রীড়া সংস্থাসমূহের একজন করিয়া প্রতিনিধি, যাহারা স্ব-স্ব সংস্থা কর্তৃক মনোনীত হইবেন;

(ন) সেনা বাহিনী ক্রীড়া নিয়ন্ত্রণ বোর্ডের একজন প্রতিনিধি;

(প) বিমান বাহিনী ক্রীড়া নিয়ন্ত্রণ বোর্ডের একজন প্রতিনিধি;

(ফ) নৌ-বাহিনী ক্রীড়া নিয়ন্ত্রণ বোর্ডের একজন প্রতিনিধি;

(ব) রেলওয়ে ক্রীড়া নিয়ন্ত্রণ বোর্ডের একজন প্রতিনিধি;

(ভ) বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ক্রীড়া নিয়ন্ত্রণ বোর্ডের একজন প্রতিনিধি;

(ম) আনসার ও ভিডিপি ক্রীড়া নিয়ন্ত্রণ বোর্ডের একজন প্রতিনিধি;

(য) আন্তঃবাহিনী ক্রীড়া নিয়ন্ত্রণ বোর্ডের একজন প্রতিনিধি;

(র) আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় ক্রীড়া নিয়ন্ত্রণ বোর্ডের একজন প্রতিনিধি;

(ল) সরকার কর্তৃক মনোনীত ৩ (তিন) জন খ্যাতনামা ক্রীড়াবিদ, যাহাদের মধ্যে একজন ক্রীড়া সংগঠক ও একজন মহিলা হইবেন; এবং

(শ) কোষাধ্যক্ষ, জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ;

(ষ) পরিচালক (সকল), জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ।

(২) উপ-ধারা (১) এর দফা (ল) এর অধীন মনোনীত সদস্যগণ তাহাদের মনোনয়নের তারিখ হইতে পরবর্তী ৪ (চার) বৎসর মেয়াদে সদস্য পদে অধিষ্ঠিত থাকিবেন :

তবে শর্ত থাকে যে, সরকার উক্ত মেয়াদ শেষ হইবার পূর্বে যে কোনো সময়, কারণ দর্শানো ব্যতিরেকে, উক্তরূপ মনোনীত কোনো সদস্যকে সদস্য পদ হইতে অব্যাহতি প্রদান করিতে পারিবে এবং মনোনীত কোনো সদস্য সরকারের উদ্দেশ্যে স্বাক্ষরযুক্ত পত্রযোগে পদত্যাগ করিতে পারিবেন।

চেয়ারম্যান
৮। যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রী পরিষদের চেয়ারম্যান হইবেন এবং তাহার অনুপস্থিতিতে ভাইস-চেয়ারম্যান, চেয়ারম্যান হিসাবে দায়িত্ব পালন করিবেন।
ভাইস-চেয়ারম্যান
৯। মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী এবং উপমন্ত্রী সকলেই বিদ্যমান থাকিলে, দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রী ব্যতীত, প্রযোজ্য ক্ষেত্রে, দুইজন বা একজন ভাইস-চেয়ারম্যান হইবেন :

তবে শর্ত থাকে যে, দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রী ব্যতীত অন্য কোনো মন্ত্রী না থাকিলে পরিষদের সদস্যগণের মধ্য হইতে চেয়ারম্যান কর্তৃক মনোনীত একজন সদস্য ভাইস-চেয়ারম্যান হইবেন।

সাধারণ পরিষদের সভা ও কার্যাবলি
১০। (১) প্রতি দুই বছরে সাধারণ পরিষদের অন্যূন একটি সভা অনুষ্ঠিত হইবে এবং সভার সময়, স্থান ও উহার কার্যপদ্ধতি বিধি দ্বারা নির্ধারিত হইবে।

(২) এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে সাধারণ পরিষদের কার্যাবলি হইবে নিম্নরূপ, যথা : –

(ক) কার্যনির্বাহী কমিটির কার্যক্রমকে গতিশীল করিবার জন্য পরামর্শ প্রদান;

(খ) নীতি নির্ধারণের বিষয়ে পরামর্শ প্রদান;

(গ) বার্ষিক আয় ও ব্যয়ের অডিট প্রতিবেদন, বার্ষিক কর্ম পরিকল্পনা ও ভবিষ্যত উন্নয়ন পরিকল্পনার পর্যালোচনা ও উক্ত বিষয়ে পরামর্শ প্রদান;

(ঘ) অন্যান্য প্রয়োজনীয় দিক নির্দেশনা প্রদান।

সাধারণ পরিচালনা ও প্রশাসন
১১। পরিষদের সাধারণ পরিচালনা ও প্রশাসন কার্যনির্বাহী কমিটির উপর ন্যস্ত থাকিবে এবং পরিষদ যে সকল ক্ষমতা প্রয়োগ ও কার্য সম্পাদন করিতে পারিবে কার্যনির্বাহী কমিটিও সেই সকল ক্ষমতা প্রয়োগ ও কার্য সম্পাদন করিতে পারিবে।
কার্যনির্বাহী কমিটি
১২। (১) পরিষদের একটি কার্যনির্বাহী কমিটি থাকিবে এবং উহা নিম্নবর্ণিত সদস্য সমন্বয়ে গঠিত হইবে, যথা : –

(ক) চেয়ারম্যান, যিনি ইহার সভাপতিও হইবেন;

(খ) ভাইস-চেয়ারম্যান, যিনি ইহার সহ-সভাপতিও হইবেন;

(গ) সচিব, যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়;

(ঘ) সচিব, অর্থ বিভাগ, অর্থ মন্ত্রণালয়;

(ঙ) সচিব, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ, শিক্ষা মন্ত্রণালয়;

(চ) সচিব, কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষা বিভাগ, শিক্ষা মন্ত্রণালয়;

(ছ) সচিব, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়;

(জ) মহাপরিচালক, বাংলাদেশ ক্রীড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠান;

(ঝ) পরিচালক, ক্রীড়া পরিদপ্তর;

(ঞ) বাংলাদেশ অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি বা তদ্‌কর্তৃক মনোনীত কোনো প্রতিনিধি;

(ট) তপশিলের ক্রমিক নং ১ হইতে ২৮ এ উল্লিখিত জাতীয় ক্রীড়া সংস্থাসমূহের মধ্য হইতে প্রতি বৎসর পর্যায়ক্রমে ৭ (সাত) টি সংস্থার সভাপতি;

(ঠ) সরকার কর্তৃক মনোনীত ৩ (তিন) জন খ্যাতনামা ক্রীড়াবিদ, যাহাদের মধ্যে একজন ক্রীড়া সংগঠক ও একজন মহিলা হইবেন;

(ড) কোষাধ্যক্ষ, জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ; এবং

(ঢ) সচিব, যিনি ইহার সদস্য-সচিবও হইবেন।

(২) উপ-ধারা (১) এর দফা (ঠ) এর অধীন মনোনীত সদস্যগণ তাহাদের মনোনয়নের তারিখ হইতে পরবর্তী ৪ (চার) বৎসর মেয়াদে সদস্য পদে অধিষ্ঠিত থাকিবেন :

তবে শর্ত থাকে যে, সরকার উক্ত মেয়াদ শেষ হইবার পূর্বে যে কোনো সময়, কারণ দর্শানো ব্যতিরেকে, উক্তরূপ মনোনীত কোনো সদস্যকে সদস্য পদ হইতে অব্যাহতি প্রদান করিতে পারিবে এবং মনোনীত কোনো সদস্য সরকারের উদ্দেশ্যে স্বাক্ষরযুক্ত পত্রযোগে পদত্যাগ করিতে পারিবেন।

কার্যনির্বাহী কমিটির সভা
১৩। (১) এই ধারার অন্যান্য বিধানাবলি সাপেক্ষে, কার্যনির্বাহী কমিটি উহার সভার কার্যপদ্ধতি নির্ধারণ করিতে পারিবে।

(২) প্রতি ৩ (তিন) মাসে কার্যনির্বাহী কমিটির অন্যূন একটি অনুষ্ঠিত সভা হইবে এবং সভার তারিখ, সময় ও স্থান সভাপতি কর্তৃক নির্ধারিত হইবে।

(৩) সচিব, সভাপতির সম্মতিক্রমে, লিখিত নোটিশ দ্বারা সভা আহবান করিবেন।

(৪) সভাপতি কার্যনির্বাহী কমিটির সকল সভায় সভাপতিত্ব করিবেন এবং তাহার অনুপস্থিতিতে সহ-সভাপতি সভায় সভাপতিত্ব করিবেন।

(৫) কার্যনির্বাহী কমিটির সভার কোরামের জন্য উহার মোট সদস্য সংখ্যার অন্যূন এক-তৃতীয়াংশ সদস্যের উপস্থিতির প্রয়োজন হইবে, তবে মূলতবি সভার ক্ষেত্রে কোনো কোরামের প্রয়োজন হইবে না।

(৬) কার্যনির্বাহী কমিটির সভায় উপস্থিত প্রত্যেক সদস্যের একটি করিয়া ভোট থাকিবে এবং সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্যের ভোটের ভিত্তিতে সভায় সিদ্ধান্ত গৃহীত হইবে, তবে প্রদত্ত ভোটের সমতার ক্ষেত্রে সভায় সভাপতিত্বকারী ব্যক্তির নির্ণায়ক ভোট প্রদানের ক্ষমতা থাকিবে।

(৭) কেবল কোনো সদস্য পদে শূন্যতা বা কার্যনির্বাহী কমিটি গঠনে ত্রুটি থাকিবার কারণে উহার কার্য বা কার্যধারা অবৈধ হইবে না এবং তদ্‌সম্পর্কে কোন প্রশ্নও উত্থাপন করা যাইবে না।

সচিব
১৪। (১) পরিষদের একজন সচিব থাকিবেন।

(২) সচিব সরকার কর্তৃক নিযুক্ত হইবেন এবং তাহার চাকরির শর্তাদি সরকার কর্তৃক স্থিরিকৃত হইবে।

(৩) সচিব পরিষদের সার্বক্ষণিক কর্মচারী হইবেন এবং তিনি পরিষদ ও কার্যনির্বাহী কমিটি কর্তৃক প্রদত্ত ক্ষমতা প্রয়োগ ও কার্য সম্পাদন করিবেন।

(৪) সবিচবের পদ শূন্য হইলে কিংবা অনুপস্থিতি, অসুস্থতা বা অন্য কোন কারণে তিনি তাহার দায়িত্ব পালনে অসমর্থ হইলে শূন্য পদে নবনিযুক্ত সচিব কার্যভার গ্রহণ না করা পর্যন্ত বা তিনি পুনরায় স্বীয় দায়িত্ব পালনে সমর্থ না হওয়া পর্যন্ত সরকার কর্তৃক নিযুক্ত কোনো ব্যক্তি সচিবের দায়িত্ব পালন করিবেন।

কোষাধ্যক্ষ
১৫। (১) পরিষদের একজন কোষাধ্যক্ষ থাকিবেন।

(২) কোষাধ্যক্ষ পরিষধ কর্তৃক নিযুক্ত হইবেন এবং তাহার দায়িত্ব, কার্যাবলি ও অন্যান্য শর্তাবলি পরিষদ কর্তৃক নির্ধারিত হইবে।

কর্মচারী নিয়োগ
১৬। (১) পরিষদ উহার কার্যাবলি সুষ্ঠুভাবে সম্পাদনের জন্য, সরকার কর্তৃক অনুমোদিত সাংগঠনিক কাঠামো সাপেক্ষে, প্রয়োজনীয় সংখ্যক কর্মচারী নিয়োগ করিতে পারিবে।

(২) কর্মচারী নিয়োগ এবং চাকরির শর্তাবলি প্রবিধান দ্বারা নির্ধারিত হইবে।

তহবিল
১৭। (১) এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ তহবিল নামে একটি তহবিল থাকিবে, যাহাতে নিম্নবর্ণিত উৎস হইতে অর্থ জমা হইবে, যথা :―

(ক) সরকার কর্তৃক প্রদত্ত অনুদান;

(খ) পরিষদের নিজস্ব আয় ;

(গ) সরকারের পূর্বানুমোদনক্রমে কোনো বিদেশি সরকার, সংস্থা বা ব্যক্তি হইতে প্রাপ্ত অনুদান বা ঋণ;

(ঘ) পরিষদ কর্তৃক আয়োজিত কোনো ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় প্রবেশের জন্য টিকেটের বিক্রয়লব্ধ অর্থ ও অন্য কোনো আদায়কৃত অর্থ ;

(ঙ) পরিষদের স্থাপনা ব্যহারের নিমিত্ত প্রাপ্ত লেভী ;

(চ) তহবিলের অর্থ বিনিয়োগের মাধ্যমে প্রাপ্ত অর্থ; এবং

(ছ) অন্য কোনো বৈধ উৎস হইতে প্রাপ্ত অনুদান।

(২) তহবিলের অর্থ কোনো তপশিলি ব্যাংকে পরিষদের নামে জমা রাখিতে হইবে এবং উক্তরূপ অর্থ হইতে কর্মচারীদের বেতন ও ভাতাদি পরিশোধসহ পরিষদের প্রয়োজনীয় ব্যয় নির্বাহ করা হইবে।

ব্যাখ্যা।―‘‘তপশিলি ব্যাংক’’ বলিতে Bangladesh Bank Order, 1972 (President’s Order No. 127 of 1972) এর Article 2 (j) তে সংজ্ঞায়িত Scheduled Bank কে বুঝাইবে।

(৩) বিধি দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতিতে তহবিল পরিচালিত হইবে, তবে বিধি প্রণীত না হওয়া পর্যন্ত সরকারের বিধি-বিধান অনুসরণক্রমে উক্ত তহবিল পরিচালনা করা যাইবে।

বাজেট
১৮। পরিষদ প্রতি বৎসর সরকার কর্তৃক নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে সম্ভাব্য আয়-ব্যয়সহ পরবর্তী অর্থ বৎসরের বাৎসরিক বাজেট বিবরণী সরকারের নিকট পেশ করিবে এবং উহাতে উক্ত বৎসরে সরকারের নিকট হইতে পরিষদের কি পরিমাণ অর্থের প্রয়োজন হইবে উহার উল্লেখ থাকিবে।
হিসাবরক্ষণ ও নিরীক্ষা
১৯। (১) পরিষদ নির্ধারিত পদ্ধতিতে উহার হিসাব রক্ষণ করিবে এবং হিসাবের বার্ষিক বিবরণী প্রস্তুত করিবে।

(২) বাংলাদেশের মহা-হিসাব নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রক প্রতি বৎসর পরিষদের হিসাব নিরীক্ষা করিবেন এবং নিরীক্ষা প্রতিবেদনের একটি করিয়া অনুলিপি সরকার ও পরিষদের নিকট প্রেরণ করিবেন।

(৩) উপ-ধারা (২) এর অধীন হিসাব নিরীক্ষার উদ্দেশ্যে বাংলাদেশের মহা-হিসাব নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রক কিংবা তাহার নিকট হইতে এতদুদ্দেশ্যে ক্ষমতাপ্রাপ্ত কোনো ব্যক্তি পরিষদের সকল রেকর্ড, দলিল-দস্তাবেজ, নগদ বা ব্যাংকে গচ্ছিত অর্থ, জামানত, ভাণ্ডার এবং অন্যবিধ সম্পত্তি পরীক্ষা করিয়া দেখিতে পারিবেন এবং কার্যনির্বাহী কমিটির যে কোনো সদস্য বা পরিষদের কোনো কর্মচারীকে জিজ্ঞাসাবাদ করিতে পারিবেন।

(৪) উপ-ধারা (২) এর অধীন হিসাব নিরীক্ষা ছাড়াও Bangladesh Chartered Accountants Order, 1973 (President’s Order No. 2 of 1973) এর Article 2 (1) (b) তে সংজ্ঞায়িত চার্টার্ড একাউনটেন্ট দ্বারা পরিষদ উহার হিসাব নিরীক্ষা করিতে পারিবে।

প্রতিবেদন
২০। (১) প্রতি অর্থ বৎসর শেষ হইবার পরবর্তী ৩ (তিন) মাসের মধ্যে পরিষদ উক্ত বৎসরের সম্পাদিত কার্যাবলির উপর একটি বার্ষিক প্রতিবেদন সরকারের নিকট দাখিল করিবে।

(২) সরকার, প্রয়োজনে, পরিষদের নিকট হইতে যে কোনো সময় পরিষদের যে কোনো বিষয়ের উপর প্রতিবেদন ও বিবরণী আহবান করিতে পারিবে এবং পরিষদ উহা সরকারের নিকট সরবরাহ করিতে বাধ্য থাকিবে।

এ্যাডহক কমিটি নিয়োগ, ইত্যাদি
২১। আপাতত বলবৎ অন্য কোন আইন, চুক্তি বা আইনি দলিলে যাহা কিছুই থাকুক না কেন, পরিষদ জাতীয় ক্রীড়া সংস্থা বা তপশিলে উল্লিখিত ক্রীড়া সংস্থার নির্বাহী কমিটি, উহা যে নামেই অভিহিত হউক না কেন, যথাযভাবে দায়িত্ব পালন করিতেছে না বা সংস্থার স্বার্থের পরিপন্থি কার্যক্রম পরিচালনা করিতেছে মর্মে পরিষদের নিকট প্রতীয়মান হইলে, উক্ত নির্বাহী কমিটি ভাঙ্গিয়া দিতে পারিবে এবং, প্রয়োজনে, একটি এ্যাডহক কমিটি নিয়োগ করিতে পারিবে।
কতিপয় সংস্থার সভাপতি নিয়োগে সরকারের ক্ষমতা
২২। আপতত বলবৎ অন্য কোনো আইন, চুক্তি বা আইনি দলিলে যাহা কিছুই থাকুক না কেন, তপশিলে বর্ণিত সংস্থার প্রধান হিসাবে একজন সভাপতি থাকিবেন, যিনি সরকার কর্তৃক মনোনীত অথবা, ক্ষেত্রমত, বিধি মোতাবেক নির্বাচিত হইবেন।
জাতীয় ক্রীড়া সংস্থার দায়িত্ব
২৩। জাতীয় ক্রীড়া সংস্থার দায়িত্ব হইবে নিম্নরূপ, যথা : ―

(ক) উহার বার্ষিক আয়-ব্যয় এর হিসাব বিবরণী ও অডিট প্রতিবেদন পরবর্তী বৎসরের সেপ্টেম্বর মাসের মধ্যে পরিষদের নিকট দাখিল করা;

(খ) প্রতি বৎসরের ক্রীড়াপঞ্জি উক্ত বৎসরের জানুয়ারি মাসের মধ্যে পরিষদে দাখিল করা; এবং

(গ) পরিষদ কর্তৃক প্রদত্ত যে কোন নির্দেশনা প্রতিপালন করা।

সরকারের নির্দেশনা প্রদানের ক্ষমতা
২৪। এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে সরকার, সময় সময়, পরিষদের কর্মকাণ্ডের দক্ষ ব্যবস্থাপনার স্বার্থে যেইরূপ পদক্ষেপ গ্রহণ উপযুক্ত বিবেচনা করিবে সেইরূপ পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য পরিষদকে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা প্রদান করিতে পারিবে এবং পরিষদ উহা প্রতিপালন করিতে বাধ্য থাকিবে।
তপশিল সংশোধনের ক্ষমতা
২৫। সরকার, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, তপশিল সংশোধন করিতে পারিবে।
বিধি প্রণয়নের ক্ষমতা
২৬। এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে সরকার, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, বিধি প্রণয়ন করিতে পারিবে।
প্রবিধান প্রণয়নের ক্ষমতা
২৭। এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে পরিষদ, সরকারের পূর্বানুমোদক্রমে, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, এই আইন বা বিধির সহিত অসামঞ্জস্যপূর্ণ নহে এইরূপ প্রবিধান প্রণয়ন করিতে পারিবে।
রহিতকরণ ও হেফাজত
২৮। (১) National Sports Council Act, 1974(Act No. LVII of 1974) অতঃপর উক্ত Act বলিয়া উল্লিখিত, এতদ্দ্বারা রহিত করা হইল।

(২) উপ-ধারা (১) এর অধীন রহিতকরণ সত্ত্বেও উক্ত Act এর অধীন―

(ক) গঠিত Council ও Executive Committee এই আইনের অধীন সাধারণ পরিষদ ও কার্যনির্বাহী কমিটি গঠিত না হওয়া পর্যন্ত বলবৎ থাকিবে;

(খ) কৃত কোনো কাজ, গৃহীত কোনো ব্যবস্থা বা চলমান কার্যধারা এই আইনের অধীন কৃত, গৃহীত বা চলমান বলিয়া গণ্য হইবে;

(গ) প্রণীত কোনো বিধি এবং জারিকৃত আদেশ বা প্রজ্ঞাপন, এই আইনের বিধানাবলির সহিত সামঞ্জস্যপূর্ণ হওয়া সাপেক্ষে, এই আইনের অধীন প্রণীত বা জারিকৃত হইয়াছে বলিয়া গণ্য হইবে।

(৩) উক্ত Act রহিত হইবার সঙ্গে সঙ্গে উক্ত Act এর অধীন প্রতিষ্ঠিত Council এর―

(ক) সকল অধিকার, ক্ষমতা, কর্তৃত্ব, স্থাবর ও অস্থাবর সকল সম্পত্তি, নগদ ও ব্যাংকে গচ্ছিত অর্থ ও জামানত, তহবিল, বিনিয়োগ, সকল দাবি, হিসাব বহি, রেজিস্টার, রেকর্ড এবং অন্যান্য দলিল পরিষদের অধিকার, ক্ষমতা, কর্তৃত্ব, স্থাবর ও অস্থাবর সম্পত্তি, নগদ ও ব্যাংকে গচ্ছিত অর্থ ও জামানত, তহবিল, বিনিয়োগ, দাবি, হিসাব বহি, রেজিস্টার, রেকর্ড এবং দলিল বলিয়া গণ্য হইবে;

(খ) সকল ঋণ, দায়-দায়িত্ব, গৃহীত বাধ্যবাধকতা এবং উহার দ্বারা, উহার পক্ষে বা উহার সহিত সম্পাদিত সকল চুক্তি, যথাক্রমে পরিষদের ঋণ, দায়-দায়িত্ব, বাধ্যবাধকতা এবং উহার দ্বারা, উহার পক্ষে বা উহার সহিত সম্পাদিত চুক্তি বলিয়া বলিয়া গণ্য হইবে;

(গ) বিরুদ্ধে বা তদ্‌কর্তৃক দায়েরকৃত মামলা বা আইনগত কার্যধারা পরিষদের বিরুদ্ধে বা পরিষদ কর্তৃক দায়েরকৃত মামলা বা আইনগত কার্যধারা বলিয়া গণ্য হইবে;

(ঘ) সকল কর্মকর্তা ও কর্মচারী পরিষদের কর্মচারী হিসাব গণ্য হইবেন এবং এই আইন প্রবর্তনের অব্যবহিত পূর্বে তাহারা যে শর্তে চাকরিতে নিয়োজিত ছিলেন সেই একই শর্তে নিযুক্ত থাকিবেন, যথক্ষণ পর্যন্ত না পরিষদ কর্তৃক তাহাদের চাকরির শর্তাবলি পরিবর্তিত হয়।

ইংরেজিতে অনূদিত পাঠ প্রকাশ
২৯। (১) এই আইন কার্যকর হইবার পর সরকার, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, এই আইনের মূল বাংলা পাঠের ইংরেজিতে অনূদিত একটি নির্ভরযোগ্য পাঠ (Authentic English Text) প্রকাশ করিতে পারিবে।

(২) বাংলা ও ইংরেজি পাঠের মধ্যে বিরোধের ক্ষেত্রে বাংলা পাঠ প্রাধান্য পাইবে।

Copyright © 2010, Legislative and Parliamentary Affairs Division
Ministry of Law, Justice and Parliamentary Affairs

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here