ঝর্ণার জল ভারি টলমল এখন দেখছি ঘোলা
ঘেটে ঘুটে দেখছি এখন আছে দুইটি পোলা!
ঝর্ণার জল ছাড়াও আমি নাইছি পুকুর খালে
সবই ছিলো গোপন এলো ঝর্ণা কান্ডের কালে।
আশা ছিলো সময় হলে সাগর দেখতে যাবো
সুযোগ দিলে আমি কিন্তু দুগ্ধের চিনি খাবো!
সব করেছি পেতে একটু জান্নাতেরই খোঁজ
সমাজটাকে গরম করতে খাটা খাটুনি রোজ!
একে একে তিনটা জান্নাত পেয়েছিলাম খুঁজে
ডাক নামের ভিন্নতা হোক, ধরেছি চোখ বুজে।
ভিন্ন নাম বা বোরকার রং কীযায় আসে তাতে
দ্বিতীয় পক্ষ নাম হবে তার যে থাকে মোর সাথে।
খুরমা খেয়ে লেগেছে গায়ে পায়ুসেনা বদনাম
ভেবেছিলাম দেখি সরল পথে করে কাজ-কাম।
নিন্দুকেরা তবুও আমায় দিলোনা একটু নিস্তার
মানুষ জানলো যখন গোপন ফোনালাপ হলো বিস্তার।
সবাই পরেছে দলিল নিয়ে দলিল দিয়ে কী হয়?
দখল থাকবে যাহার হাতে জমি কী তার নয়?
সবাই বলে অন্যের জমি আমি দিচ্ছি চাষ
রাখলাম করে উর্বর জমি, নইলে জমতো ঘাষ!
এত কিছু করেও কারো মন পাইলাম নারে
পাই না পাই তবুও ভালো বাসবো জান্নাতেরে
চলনে বলনে লেবাসে আমি কোন দিক দিয়ে কম?
এত কিছু থাকার পরেও ছাড়লোনা মোরে জম।
সময় এখন বেজায় খারাপ রুহানী পোলারা শুধু
থাকছে তারা ভাগছে সবাই দেখছি চোখে ধুধু!
অধম জুয়েল ভাবে বসে লেবাসের কেরামতি
ভন্ডরা সব সাধু সাজায় সমাজের হচ্ছে ক্ষতি।
সমাজে এখনও মানুষ আছে তারাই ধরবে হাল
ভন্ডদের গালে মারো জুতা গাল করে দাও লাল।

শরীয়তপুর, ১২ এপ্রিল ২০২১।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here