বস্ত্র আইন, ২০১৮
( ২০১৮ সনের ৩৭ নং আইন )
[১ অক্টোবর, ২০১৮]
দেশের অভ্যন্তরীণ বস্ত্র চাহিদা পূরণ, রপ্তানি বৃদ্ধি এবং ব্যাপক কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টির লক্ষ্যে বাংলাদেশের বস্ত্র খাতকে যুগোপযোগীকরণ, আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় সক্ষমতা অর্জনে সহায়তাকরণ, টেকসই উন্নয়ন, বিনিয়োগ আকৃষ্টকরণ, আধুনিকায়ন, সমন্বয় ও মান নিয়ন্ত্রণ, বস্ত্রশিক্ষা ক্ষেত্রে চাহিদা ভিত্তিক কারিক্যুলাম প্রণয়ন, গবেষণা, মানবসম্পদ উন্নয়ন ও দক্ষ জনবল সৃষ্টি এবং এতদ্‌সংক্রান্ত অন্যান্য কার্যাবলি সুষ্ঠুভাবে সম্পাদনের নিমিত্ত বিধান প্রণয়নকল্পে প্রণীত আইন
যেহেতু বস্ত্রখাত বাংলাদেশের প্রধান রপ্তানি খাত ও ইহার অধিকতর প্রসারের যথেষ্ট সুযোগ ও সম্ভাবনা রহিয়াছে; এবং

যেহেতু দেশের অভ্যন্তরীন বস্ত্র চাহিদা পূরণ, রপ্তানি বৃদ্ধি এবং ব্যাপক কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টির লক্ষ্যে বাংলাদেশের বস্ত্র খাতকে যুগোপযোগীকরণ, আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় সক্ষমতা অর্জনে সহায়তাকরণ, টেকসই উন্নয়ন, বিনিয়োগ আকৃষ্টকরণ, আধুনিকায়ন, সমন্বয় ও মান নিয়ন্ত্রণ, বস্ত্রশিক্ষা ক্ষেত্রে চাহিদা ভিত্তিক কারিক্যুলাম প্রণয়ন, গবেষণা, মানবসম্পদ উন্নয়ন ও দক্ষ জনবল সৃষ্টি করা আবশ্যক; এবং

যেহেতু বস্ত্র শিল্প সংশ্লিষ্ঠ অন্যান্য কার্যাবলি সুষ্ঠুভাবে সম্পাদনের নিমিত্ত বিধান প্রণয়ন করা সমীচীন ও প্রয়োজনীয়;

সেহেতু, এতদ্দ্বারা নিম্নরূপ আইন করা হইল :-

সূচী
ধারাসমূহ
১। সংক্ষিপ্ত শিরোনাম ও প্রবর্তন
২। সংজ্ঞা
৩। পোষক কর্তৃপক্ষের কার্যাবলি
৪। সরকার কর্তৃক পুনঃগ্রহণকৃত (take backed) বস্ত্র মিলসমূহের ব্যবস্থাপনা ও তদারকি
৫। বস্ত্রখাতে বিনিয়োগ, উন্নয়ন ও সহায়তা প্রদান
৬। ওয়ান স্টপ সার্ভিস
৭। প্রণোদনা ও পুরস্কার
৮। উৎপাদন উপকরণের মান নিয়ন্ত্রণ, তদারকি ও সমন্বয়
৯। কাঁচামাল আমদানি ও রপ্তানি
১০। নিরাপত্তা ও কর্ম পরিবেশের উন্নয়ন
১১। বস্ত্রখাতের দক্ষ জনবল সৃষ্টি, ইত্যাদি
১২। বস্ত্র শিল্পের নিবন্ধন
১৩। নিবন্ধন নবায়ন, স্থগিত, বাতিলকরণ, ইত্যাদি
১৪। বায়িং হাউজের নিবন্ধন
১৫। পরীক্ষাগার স্থাপন
১৬। গবেষণা, তথ্য ভাণ্ডার প্রতিষ্ঠা, তথ্য সংরক্ষণ ইত্যাদি
১৭। পরিদর্শন ও তথ্যাদি প্রদান
১৮। আপিল
১৯। ক্ষমতা অর্পণ
২০। অব্যাহতি প্রদানের ক্ষমতা
২১। অসুবিধা দূরীকরণ
২২। বিধি প্রণয়নের ক্ষমতা
২৩। নীতিমালা প্রণয়নের ক্ষমতা
২৪। হেফাজত
২৫। ইংরেজিতে অনূদিত পাঠ প্রকাশ
Copyright © 2010, Legislative and Parliamentary Affairs Division
Ministry of Law, Justice and Parliamentary Affairs

 

 

 

বস্ত্র আইন, ২০১৮
( ২০১৮ সনের ৩৭ নং আইন )
[১ অক্টোবর, ২০১৮]
     
দেশের অভ্যন্তরীণ বস্ত্র চাহিদা পূরণ, রপ্তানি বৃদ্ধি এবং ব্যাপক কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টির লক্ষ্যে বাংলাদেশের বস্ত্র খাতকে যুগোপযোগীকরণ, আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় সক্ষমতা অর্জনে সহায়তাকরণ, টেকসই উন্নয়ন, বিনিয়োগ আকৃষ্টকরণ, আধুনিকায়ন, সমন্বয় ও মান নিয়ন্ত্রণ, বস্ত্রশিক্ষা ক্ষেত্রে চাহিদা ভিত্তিক কারিক্যুলাম প্রণয়ন, গবেষণা, মানবসম্পদ উন্নয়ন ও দক্ষ জনবল সৃষ্টি এবং এতদ্‌সংক্রান্ত অন্যান্য কার্যাবলি সুষ্ঠুভাবে সম্পাদনের নিমিত্ত বিধান প্রণয়নকল্পে প্রণীত আইন
যেহেতু বস্ত্রখাত বাংলাদেশের প্রধান রপ্তানি খাত ও ইহার অধিকতর প্রসারের যথেষ্ট সুযোগ ও সম্ভাবনা রহিয়াছে; এবং

যেহেতু দেশের অভ্যন্তরীন বস্ত্র চাহিদা পূরণ, রপ্তানি বৃদ্ধি এবং ব্যাপক কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টির লক্ষ্যে বাংলাদেশের বস্ত্র খাতকে যুগোপযোগীকরণ, আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় সক্ষমতা অর্জনে সহায়তাকরণ, টেকসই উন্নয়ন, বিনিয়োগ আকৃষ্টকরণ, আধুনিকায়ন, সমন্বয় ও মান নিয়ন্ত্রণ, বস্ত্রশিক্ষা ক্ষেত্রে চাহিদা ভিত্তিক কারিক্যুলাম প্রণয়ন, গবেষণা, মানবসম্পদ উন্নয়ন ও দক্ষ জনবল সৃষ্টি করা আবশ্যক; এবং

যেহেতু বস্ত্র শিল্প সংশ্লিষ্ঠ অন্যান্য কার্যাবলি সুষ্ঠুভাবে সম্পাদনের নিমিত্ত বিধান প্রণয়ন করা সমীচীন ও প্রয়োজনীয়;

সেহেতু, এতদ্দ্বারা নিম্নরূপ আইন করা হইল :-

সংক্ষিপ্ত শিরোনাম ও প্রবর্তন
১। (১) এই আইন বস্ত্র আইন, ২০১৮ নামে অভিহিত হইবে।

(২) ইহা অবিলম্বে কার্যকর হইবে।

সংজ্ঞা
২। বিষয় বা প্রসঙ্গের পরিপন্থি কোনো কিছু না থাকিলে, এই আইনে,-

(১) ‘‘অধিদপ্তর’’ অর্থ বস্ত্র অধিদপ্তর;

(২) ‘‘উৎপাদন উপকরণ’’ অর্থ প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে তন্তু বা আঁশ হইতে সুতা, সুতা হইতে কাপড়, উইভিং, নিটিং, ডাইং, প্রিন্টিং, ফিনিশিং, তৈরি পোশাক, এক্সেসরিজ প্যাকেজিং, ফ্যাশন ডিজাইনিং, এমব্রয়ডারিসহ উৎপাদন ও প্রক্রিয়াকরণের বিভিন্ন স্তরে ব্যবহৃত অন্যান্য যন্ত্র ও যন্ত্রপাতি;

(৩) ‘‘ক্ষমতাপ্রাপ্ত কর্মচারী’’ অর্থ সরকার বা পোষক কর্তৃপক্ষ কর্তৃক ক্ষমতাপ্রাপ্ত কোনো কর্মচারী;

(৪) ‘‘নিবন্ধন’’ অর্থ আইনের ধারা ১২ এর অধীন প্রদত্ত নিবন্ধন;

(৫) ‘‘মহাপরিচালক’’ অর্থ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক;

(৬) ‘‘পোষক কর্তৃপক্ষ’’ অর্থ বস্ত্র অধিদপ্তর;

(৭) ‘‘বস্ত্র’’ অর্থ কোনো প্রাকৃতিক উপাদান দ্বারা প্রস্তুতকৃত কোনো বস্ত্র বা বস্ত্র পণ্য বা নিম্নবর্ণিত কোনো তন্তু বা আঁশ বা হইতে প্রস্তুতকৃত বস্ত্র-

(ক) কোনো উদ্ভিদজাত তন্তু বা উদ্ভিদের বাকল, কাণ্ড, পাতা, ফুল, ফল ও শিকড় হইতে প্রস্তুতকৃত তন্তু, যেমন- পাট ও পাট জাতীয় আঁশ, তুলা, নারিকেলের ছোবড়া, কলা, বাঁশ, বেত ও অন্যান্য উদ্ভিদের তন্তু বা আঁশ;

(খ) বিভিন্ন রাসায়নিক পদার্থের সংমিশ্রণে কৃত্রিমভাবে প্রস্তুতকৃত তন্তু, যেমন-পলিয়েস্টার, নাইলন, অ্যাক্রিলিক, ভিসকস (viscose) বা অন্য যে কোনো কৃত্রিম তন্তু;

(গ) কোনো খনিজজাত তন্তু বা খনিজ পদার্থ হইতে উৎপাদিত তন্তু;

(ঘ) কোনো প্রাণিজাত তন্তু বা প্রাণির দেহ হইতে বিভিন্ন প্রক্রিয়ায় উৎপাদিত তন্তু;

(৮) ‘‘বস্ত্রশিল্প’’ অর্থ তুলা, সুতা, ফেব্রিকস, বস্ত্র বা তৈরি পোশাক, বস্ত্রখাতের মূলধনি যন্ত্রপাতি, কম্পোজিট কার্যক্রম, এলাইড টেক্সটাইল ও প্যাকেজিং উপাদান উৎপাদন, বস্ত্র পণ্য উৎপাদন, প্রক্রিয়াকরণ, প্যাকেজিং, গুদামজাতকরণ, আমদানি ও রপ্তানি, বিক্রয় ও বাজারজাতকরণ, বায়িং হাউজসহ সকল কার্যক্রম এবং এতদ্‌সংশ্লিষ্ট কার্যক্রম পরিচালনাকারী সকল প্রতিষ্ঠান, সংস্থা ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান:

তবে শর্ত থাকে যে, বস্ত্র পণ্য উৎপাদনের সহিত জড়িত নহে স্থানীয় বাজারের এইরূপ খুচরা ও পাইকারি বস্ত্র ব্যবসা এবং উক্ত ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম ইহার অন্তর্ভুক্ত হইবে না;

(৯) ‘‘ব্যক্তি’’ অর্থে কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান, কোম্পানি, অংশীদারী কারবার, ফার্ম বা অন্য কোনো সংস্থা এবং আইনের মাধ্যমে সৃষ্ট কোনো সত্ত্বা বা কৃত্রিম আইনগত সত্ত্বাও ইহার অন্তর্ভুক্ত হইবে;

(১০) ‘‘বিধি’’ অর্থ এই আইনের অধীন প্রণীত বিধি।

পোষক কর্তৃপক্ষের কার্যাবলি
৩। পোষক কর্তৃপক্ষ বস্ত্রশিল্পকে সহায়তা ও সেবা প্রদানের লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় যে কোনো কার্যাবলি সম্পাদন করিবে।
সরকার কর্তৃক পুনঃগ্রহণকৃত (take backed) বস্ত্র মিলসমূহের ব্যবস্থাপনা ও তদারকি
৪। (১) যে সকল বস্ত্র মিল আইন দ্বারা বা সরকারের কোনো নীতির আওতায় বা তদধীন সম্পাদিত কোনো চুক্তির মাধ্যমে বিরাষ্ট্রীয়করণ, বেসরকারিকরণ, হস্তান্তর বা বিক্রয় করা হইয়াছে উক্ত বস্ত্র মিলসমূহ প্রযোজ্য কোনো শর্ত লঙ্ঘন করিলে সরকার বিরাষ্ট্রীয়করণ, বেসরকারিকরণ, হস্তান্তর বা বিক্রয় চুক্তি বাতিলপূর্বক উক্ত বস্ত্রমিলসমূহ পুনঃগ্রহণ (take back) করিতে পারিবে।

(২) সরকার উপ-ধারা (১) এর অধীন পুনঃগ্রহণকৃত বস্ত্রমিলের ব্যবস্থাপনা এবং উহার কার্যক্রম চলমান রাখিবার বা পুনরায় আরম্ভ করিবার জন্য বাংলাদেশ টেক্সটাইল মিল্‌স কর্পোরেশন এর নিকট ন্যস্ত করিতে পারিবে।

(৩) সরকারি অর্থায়নের পাশাপাশি বাংলাদেশ সরকারের সহিত বিদেশি সরকারের সহযোগিতা, সরকারি বেসরকারি অংশীদারিত্ব, দেশি বিদেশি যৌথ বিনিয়োগ, দেশিয় বেসরকারি বিনিয়োগ, বৈদেশিক বিনিয়োগ বা অনুরূপ ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে বস্ত্র মিলসমূহ আধুনিকায়ন এবং নূতন বস্ত্রমিল স্থাপন করা যাইবে।

(৪) সরকার, রাষ্ট্রায়ত্ত বস্ত্র মিলসমূহের অব্যবহৃত ভূমি বা স্থাপনা, সরকারি বেসরকারি অংশীদারিত্ব বা বস্ত্রশিল্প সংশ্লিষ্ট অধিকতর উৎপাদনশীল কোনো কার্যে ব্যবহারের জন্য প্রচলিত আইনের অধীন লিজ বা, বিধি দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতিতে, ভাড়া প্রদান করিতে পারিবে।

বস্ত্রখাতে বিনিয়োগ, উন্নয়ন ও সহায়তা প্রদান
৫। (১) সরকার বস্ত্র খাতে সরকারি, বেসরকারি, বৈদেশিক, বহুজাতিক কোম্পানি, দেশি বিদেশি ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠান, সরকারি বেসরকারি অংশীদারিত্বসহ অন্য কোনো প্রচলিত পদ্ধতিতে প্রয়োজনীয় বিনিয়োগ আকর্ষণের উদ্যোগ গ্রহণ করিতে পারিবে।

(২) বস্ত্র খাতের উন্নয়ন ও সম্প্রসারণের জন্য সরকার প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণ ও সহায়তা প্রদান করিবে।

(৩) সরকার, বস্ত্র শিল্পে বাংলাদেশের বিদ্যমান অবস্থান অধিকতর দৃঢ় করিবার লক্ষ্যে বস্ত্র পণ্য উৎপাদন, পণ্যের মানোন্নয়ন, রপ্তানির প্রসার, উৎপাদনে উন্নত প্রযুক্তির ব্যবহারসহ অন্যান্য প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণ করিবার লক্ষ্যে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় বা বিভাগের সহিত সমন্বয়সাধন এবং অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক কূটনীতির মাধ্যমে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণ করিবে।

(৪) আয়কর, মূল্য সংযোজন কর, শুল্ক আইনসহ সংশ্লিষ্ট অন্যান্য আইনের অধীন প্রদেয় বিনিয়োগ সংক্রান্ত সুবিধাদি প্রদানের লক্ষ্যে সরকার প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণ করিতে পারিবে।

(৫) কোনো বস্ত্রশিল্প সরকারি, আধা-সরকারি, কোনো সংবিধিবদ্ধ কর্তৃপক্ষ, সরকার কর্তৃক অনুমোদিত বাণিজ্য সংগঠন, অ্যাসোসিয়েশন, ব্যাংক, বীমা বা আর্থিক প্রতিষ্ঠান কর্তৃক প্রদেয় কোনো সুবিধাদি, যদি থাকে, প্রাপ্তির অধিকারী হইবে।

(৬) এই ধারার উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, প্রয়োজনীয় বিধানাবলি বিধি দ্বারা নির্ধারণ করা যাইবে।

ওয়ান স্টপ সার্ভিস
৬। (১) বস্ত্র শিল্প সংশ্লিষ্ট কোনো প্রকল্প বা উদ্যোগ বাস্তবায়নের জন্য সংশ্লিষ্ট উদ্যোক্তা বা বিনিয়োগকারীগণকে প্রয়োজনীয় অবকাঠামোগত সুবিধাসহ আনুষঙ্গিক সকল সেবা, সুবিধা, প্রণোদনা, অনুমতি, ছাড়পত্র, লাইসেন্স, পারমিট ইত্যাদি প্রদান দ্রুত নিশ্চিতকরণের লক্ষ্যে একটি ওয়ান স্টপ সার্ভিস কেন্দ্র থাকিবে।

(২) ওয়ান স্টপ সার্ভিস কেন্দ্র গঠনসহ আনুষঙ্গিক সকল বিষয়াদি বিধি দ্বারা নির্ধারিত হইবে।

প্রণোদনা ও পুরস্কার
৭। (১) এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, সরকার প্রয়োজনে, বিধি দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতিতে ও শর্তে, কোনো বস্ত্রশিল্পকে প্রণোদনা প্রদান করিতে পারিবে।

(২) দেশি বিদেশি বিনিয়োগ আকর্ষণের লক্ষ্যে সরকার কর্তৃক নির্ধারিত বা জাতীয় শিল্প নীতি দ্বারা ঘোষিত প্রণোদনাসমূহ এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে সামঞ্জস্যপূর্ণভাবে প্রয়োগযোগ্য হইবে।

(৩) সরকার, বিধি দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতিতে ও শর্তে, বস্ত্রশিল্প খাত সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিগণকে উৎসাহিতকরণের লক্ষ্যে উক্ত খাতে উল্লেখযোগ্য অবদান রাখিবার জন্য পুরস্কার প্রদান করিতে পারিবে।

উৎপাদন উপকরণের মান নিয়ন্ত্রণ, তদারকি ও সমন্বয়
৮। (১) বস্ত্রশিল্পে ব্যবহারের উদ্দেশ্যে আমদানিকৃত রং, রাসায়নিকসহ অন্য কোনো উপাদান যে কোনো পর্যায়ে বাজারজাত করিবার সময়, ক্ষমতাপ্রাপ্ত কর্মচারী আমদানিকারকের নিকট হইতে নমুনা সংগ্রহ করিয়া, বিধি দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতিতে, পরীক্ষাপূর্বক উহার মান যাচাই করিতে পারিবেন।

(২) উপ-ধারা (১) এ উল্লিখিত উপাদান দ্বারা পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর কোনো পণ্য প্রস্তুতপূর্বক বিক্রয় বা বাজারজাত করা যাইবে না।

কাঁচামাল আমদানি ও রপ্তানি
৯। (১) কেবল রপ্তানিমুখী বস্ত্রশিল্পে ব্যবহার বা প্যাকেজিং এর উদ্দেশ্যে আমদানিকৃত কাঁচামাল রপ্তানি বহির্ভূত বস্ত্রশিল্পে ব্যবহারের উদ্দেশ্যে বিক্রয় ও বাজারজাত করা যাইবে না।

(২) কোনো ব্যক্তি বস্ত্র শিল্পে ব্যবহার্য কাঁচামাল দেশে উৎপাদন বা আমদানিপূর্বক কোনো রপ্তানিমুখী বস্ত্রশিল্পের নিকট লেটার অব ক্রেডিট (এলসি) এর আওতায় বিক্রয় করিলে উহা প্রচ্ছন্ন রপ্তানি আয় হিসাবে গণ্য হইবে এবং এইরূপ ক্ষেত্রে তিনি বৈদেশিক মুদ্রায় বিক্রয়লব্ধ অর্থ প্রাপ্য হইবেন।

নিরাপত্তা ও কর্ম পরিবেশের উন্নয়ন
১০। কোনো বস্ত্রশিল্পের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা ও সার্বিক কর্ম পরিবেশের মান সংশ্লিষ্ট বস্ত্রশিল্পকে নিশ্চিত করিতে হইবে।
বস্ত্রখাতের দক্ষ জনবল সৃষ্টি, ইত্যাদি
১১। (১) সরকার, বস্ত্রখাতে দক্ষ জনবল সৃষ্টির লক্ষ্যে, প্রয়োজনীয় সংখ্যক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান স্থাপন এবং প্রশিক্ষণ প্রদানের ব্যবস্থা গ্রহণ করিবে।

(২) সরকার, বস্ত্রখাতে দক্ষ জনবল সৃষ্টির জন্য বিশ্ববিদ্যালয়, কলেজ, ডিজাইন ইনস্টিটিউট, ফ্যাশন ইনস্টিটিউট, টেক্সটাইল ট্রেনিং সেন্টার (টিটিসি) স্থাপনের পদক্ষেপ গ্রহণ করিবে।

(৩) এই ধারার উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশিপ এর আওতায় বস্ত্র শিক্ষা প্রতিষ্ঠান স্থাপন করা যাইবে।

(৪) সরকার, এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, প্রশিক্ষণ প্রদানের মাধ্যমে দক্ষ জনবল সৃষ্টির লক্ষ্যে বস্ত্রশিল্প সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ী সংগঠনের নিকট হইতে প্রয়োজনীয় সহযোগিতা গ্রহণ করিতে পারিবে।

(৫) সরকারি, আধা-সরকারি এবং বেসরকারিভাবে প্রতিষ্ঠিত টেক্সটাইল ভোকেশনাল ইনস্টিটিউট, টেক্সটাইল ইনস্টিটিউট, টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজসমূহের শিক্ষার গুণগত মান উন্নয়ন, কারিক্যুলাম প্রণয়ন ও তথ্য সংরক্ষণের বিষয়ে অধিদপ্তর সমন্বয়কারী হিসাবে দায়িত্ব পালন করিবে।

(৬) অধিদপ্তর, বস্ত্রশিল্প সম্পর্কিত চাহিদাভিত্তিক কারিক্যুলাম প্রণয়নে সহায়তা প্রদানের লক্ষ্যে বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ড এবং সরকারি ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে সমন্বয় সাধন করিবে।

(৭) অধিদপ্তর, সরকারের নির্দেশনা মোতাবেক, টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ, টেক্সটাইল ইনস্টিটিউট এবং টেক্সটাইল ভোকেশনাল ইনস্টিটিউট বা সমজাতীয় প্রতিষ্ঠানের মানসম্মত শিক্ষা ব্যবস্থাপনা দায়িত্ব পালন করিবে।

(৮) অধিদপ্তর, বেসরকারি টেক্সটাইল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমূহের শিক্ষার মান, যন্ত্রপাতি ব্যবহারিক প্রশিক্ষণের জন্য স্থাপিত যন্ত্রপাতি ও সরঞ্জামাদির পর্যাপ্ততা যাচাইয়ের লক্ষ্যে উক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন এবং তদনুযায়ী সরকারের নিকট সুপারিশ প্রদান করিতে পারিবে।

(৯) সরকার, বস্ত্রখাতে উচ্চমূল্য সংযোজিত বস্ত্র বা বস্ত্র পণ্য উৎপাদনের লক্ষ্যে ফ্যাশন ডিজাইনিং, মার্কেটিং, ম্যার্চেন্ডাইজিং, ব্যবস্থাপনা এবং সার্বিক কারিগরি দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য বিশেষায়িত প্রশিক্ষণ কার্যক্রম গ্রহণ করিবে।

(১০) এই ধারার উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, প্রয়োজনে, বিদেশি প্রশিক্ষক দ্বারা যুগোপযোগী প্রশিক্ষণ প্রদানের উদ্যোগ গ্রহণ করা যাইবে।

বস্ত্র শিল্পের নিবন্ধন
১২। (১) মহাপরিচালক বস্ত্রশিল্প নিবন্ধকের দায়িত্ব পালন করিবেন:

তবে শর্ত থাকে যে, প্রয়োজনীয়তার নিরিখে সরকার, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, অধিদপ্তরের অন্য কোনো উপযুক্ত কর্মচারীকে বস্ত্রশিল্প নিবন্ধকের ক্ষমতা অর্পণ করিতে পারিবে।

(২) পোষক কর্তৃপক্ষের নিবন্ধন ব্যতীত কোনো বস্ত্রশিল্প পরিচালনা করা যাইবে না।

(৩) উপ-ধারা (১) এর অধীন নিবন্ধন প্রাপ্তির জন্য, বিধি দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতিতে ও ফি প্রদান সাপেক্ষে, নিবন্ধকের নিকট আবেদন দাখিল করিতে হইবে।

(৪) উপ-ধারা (৩) এ যাহা কিছুই থাকুক না কেন, বিদ্যমান কোনো আইনের অধীন প্রতিষ্ঠিত অন্য কোনো কর্তৃপক্ষ বা সংস্থা কর্তৃক, এই আইন প্রণয়নের পূর্বে প্রদত্ত বস্ত্র শিল্পের নিবন্ধন―

(ক) এইরূপে কার্যকর থাকিবে যেন উহা এই আইনের অধীন প্রদত্ত হইয়াছে;

(খ) কেবল উহার অবশিষ্ট মেয়াদ পর্যন্ত কার্যকর থাকিবে;

(গ) এর মেয়াদ ইতোমধ্যে উত্তীর্ণ হইয়া গেলে উহা এই আইনের অধীন নবায়নযোগ্য হইবে;

(ঘ) নবায়নের ক্ষেত্রে এই আইনের বিধানাবলি প্রয়োগযোগ্য হইবে।

(৫) উপ-ধারা (৩) এর অধীন দাখিলকৃত আবেদন, এই আইন এবং তদধীন প্রণীত বিধির বিধান অনুসারে, বিবেচনাক্রমে, আবেদন দাখিলের ৬০ (ষাট) দিনের মধ্যে নিবন্ধন সনদ প্রদান করিতে হইবে।

(৬) এই ধারার অধীন প্রদত্ত নিবন্ধন সনদের মূলকপি হারাইয়া বা নষ্ট হইয়া গেলে, বিধি দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতিতে ও ফি প্রদান সাপেক্ষে, নিবন্ধকের নিকট আবেদন দাখিল করিতে হইবে।

(৭) এই ধারার অধীন প্রদত্ত নিবন্ধন সনদের উহার মেয়াদ ও নিবন্ধন প্রদানের শর্তাবলি উল্লিখিত থাকিবে।

নিবন্ধন নবায়ন, স্থগিত, বাতিলকরণ, ইত্যাদি
১৩। (১) নিবন্ধন গ্রহীতা গৃহীত নিবন্ধনের মেয়াদ উত্তীর্ণের ৩ (তিন) মাস পূর্বে, বিধি দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতিতে, নিবন্ধন নবায়নের আবেদন দাখিল করিবেন।

(২) এই আইন বা তদধীন প্রণীত বিধির কোনো বিধান লঙ্ঘন করা হইলে বা নিবন্ধন সনদে উল্লিখিত কোনো শর্ত ভঙ্গ করা হইলে বা নিবন্ধন প্রাপ্তির উদ্দেশ্যে কোনো ভুল বা অসত্য তথ্য প্রদান করা হইলে নিবন্ধক, বিধি দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতিতে, নিবন্ধন স্থগিত বা, ক্ষেত্রমত, বাতিল করিতে পারিবেন।

(৩) নিবন্ধন গ্রহীতাকে অন্যূন ১৫ (পনেরো) দিনের কারণ দর্শানোর সুযোগ প্রদান না করিয়া উপ-ধারা (২) এর অধীন কোনো নিবন্ধন স্থগিত বা, ক্ষেত্রমত, বাতিল করা যাইবে না।

বায়িং হাউজের নিবন্ধন
১৪। ধারা ১৩ এ যাহা কিছুই থাকুক না কেন, প্রয়োজনে, বায়িং হাউজের নিবন্ধন আবেদনের পদ্ধতি, নিবন্ধন সনদ প্রদান, নিবন্ধন স্থগিত ও নবায়ন, ফি নির্ধারণসহ অন্যান্য প্রয়োজনীয় বিষয়াদি, সরকার সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, নির্ধারণ করিতে পারিবে।
পরীক্ষাগার স্থাপন
১৫। এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে সরকার, আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন পরীক্ষাগার স্থাপন করিতে পারিবে।
গবেষণা, তথ্য ভাণ্ডার প্রতিষ্ঠা, তথ্য সংরক্ষণ ইত্যাদি
১৬। (১) সরকার, বস্ত্রখাতের উন্নয়ন ও গবেষণার জন্য প্রয়োজনীয় সংখ্যক গবেষণা প্রতিষ্ঠান স্থাপন করিতে পারিবে।

(২) বস্ত্রশিল্প সংশ্লিষ্ট কোনো বেসরকারি সংগঠন, প্রয়োজনে সরকারি বেসরকারি অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে, গবেষণা প্রতিষ্ঠান স্থাপন করিতে পারিবে।

(৩) অধিদপ্তর, বস্ত্রখাত সংশ্লিষ্ঠ সকল দপ্তর বা সংস্থা বা ব্যবসায়ী সংগঠন হইতে প্রয়োজনীয় তথ্যাদি সংগ্রহ করিয়া, একটি অনলাইন ভিত্তিক তথ্যভাণ্ডার স্থাপন করিবে।

(৪) সংশ্লিষ্ট সরকারি দপ্তর বা সংস্থা বা ব্যবসায়ী সংগঠনসমূহ উপ-ধারা (৩) এর অধীন স্থাপিত তথ্যভাণ্ডারে সন্নিবেশের লক্ষ্যে অধিদপ্তরের চাহিদা মোতাবেক তথ্য সরবরাহ করিবে।

(৫) অধিদপ্তর, তথ্যভাণ্ডারে রক্ষিত তথ্যাদি বিশ্লেষণ করিবে এবং বার্ষিক ভিত্তিতে নিবন্ধনকৃত বস্ত্রশিল্পের তালিকা, বস্ত্র আমদানি, উৎপাদন ও রপ্তানির তথ্যসহ অন্যান্য তথ্যসংবলিত পুস্তিকা মুদ্রণ এবং ওয়েবসাইটে প্রকাশ করিবে।

পরিদর্শন ও তথ্যাদি প্রদান
১৭। (১) ক্ষমতাপ্রাপ্ত কর্মচারী, নিবন্ধনের শর্ত মোতাবেক সংশ্লিষ্ট বস্ত্রশিল্প পরিচালিত হইতেছে কিনা তাহা, বিধি দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতিতে, পরিদর্শন করিতে পারিবেন এবং উক্তরূপ পরিদর্শনে প্রাপ্ত তথ্যাদির আলোকে প্রতিবেদন এবং প্রয়োজনে সুপারিশ সরকারের নিকট উপস্থাপন করিবেন।

(২) সরকার, আইন দ্বারা প্রতিষ্ঠিত কোনো কর্তৃপক্ষ বা সংস্থার অধীনস্থ শিল্প প্রতিষ্ঠান ব্যতীত, সুতা ও বস্ত্রের মজুদ কার্যক্রম ও বাজারজাতকরণের বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করিবে এবং, সময় সময়, প্রয়োজনীয় নির্দেশনা জারি করিবে।

(৩) সরকার, উপ-ধারা (১) এর অধীন পরিদর্শনের জন্য, প্রকৌশলগত সক্ষমতা অর্জনের লক্ষ্যে পোষক কর্তৃপক্ষকে প্রয়োজনীয় সহযোগিতা প্রদান করিবে।

আপিল
১৮। (১) এই আইনের অধীন প্রদত্ত কোনো আদেশ দ্বারা কোনো ব্যক্তি বা নিবন্ধন গ্রহীতা সংক্ষুব্ধ হইলে তিনি উক্তরূপ আদেশ প্রাপ্তির তারিখ হইতে ৩০ (ত্রিশ) দিনের মধ্যে সরকারের নিকট আপিল দায়ের করিতে পারিবেন।

(২) উপ-ধারা (১) এর অধীন আপিল দায়েরের তারিখ হইতে ৬০ (ষাট) দিনের মধ্যে এতদ্‌বিষয়ে সিদ্ধান্ত প্রদান করিতে হইবে এবং উক্ত বিষয়ে সরকারের সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হইবে।

ক্ষমতা অর্পণ
১৯। সরকার বা, ক্ষেত্রমত, অধিদপ্তর, লিখিত আদেশ দ্বারা উহার যে কোনো ক্ষমতা, উক্ত আদেশে উল্লিখিত শর্ত সাপেক্ষে কোনো ব্যক্তি, কর্মচারী বা সংস্থাকে অর্পণ করিতে পারিবে।
অব্যাহতি প্রদানের ক্ষমতা
২০। সরকার আদেশ দ্বারা, কোনো ব্যক্তি, বস্ত্র ও বস্ত্রপণ্য উৎপাদনকারী, আমদানিকারক এবং রপ্তানিকারককে এই আইন বা তদধীন প্রণীত বিধির বিধান বা আদেশের প্রয়োগ হইতে অব্যাহতি প্রদান করিতে পারিবে।
অসুবিধা দূরীকরণ
২১। এই আইনের বিধানাবলি কার্যকর করিবার ক্ষেত্রে এই আইনের কোনো বিধানের অস্পষ্টতার কারণে কোনো অসুবিধা দেখা দিলে, সরকার, এই আইন ও তদধীন প্রণীত বিধির সহিত সামঞ্জস্য রাখিয়া, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, উহা স্পষ্টীকরণ বা ব্যাখ্যা প্রদান করিতে পারিবে।
বিধি প্রণয়নের ক্ষমতা
২২। এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে সরকার, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, বিধি প্রণয়ন করিতে পারিবে।
নীতিমালা প্রণয়নের ক্ষমতা
২৩। সরকার, এই আইন এবং তদধীন প্রণীত বিধির সহিত সামঞ্জস্যপূর্ণভাবে, নীতিমালা প্রণয়ন করিতে পারিবে।
হেফাজত
২৪। বিদ্যমান অধিদপ্তর কর্তৃক সম্পাদিত সকল কার্য, গৃহীত সিদ্ধান্ত, জারিকৃত আদেশ বা অনুমোদিত কোনো পরিকল্পনা, এই আইনের সহিত অসামঞ্জস্যপূর্ণ না হওয়া সাপেক্ষে, এমনভাবে চলমান থাকিবে যেন উহা এই আইনের অধীন সম্পাদিত, গৃহীত, জারিকৃত বা অনুমোদিত হইয়াছে।
ইংরেজিতে অনূদিত পাঠ প্রকাশ
২৫। (১) এই আইন কার্যকর হইবার পর, সরকার, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, এই আইনের ইংরেজিতে অনূদিত একটি নির্ভরযোগ্য পাঠ (Authentic English Text) প্রকাশ করিতে পারিবে ।

(২) বাংলা ও ইংরেজি পাঠের মধ্যে বিরোধের ক্ষেত্রে বাংলা পাঠ প্রাধান্য পাইবে।

Copyright © 2010, Legislative and Parliamentary Affairs Division
Ministry of Law, Justice and Parliamentary Affairs

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here