বাংলাদেশ প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউট আইন, ২০১৮
( ২০১৮ সনের ৫৩ নং আইন )
[১৪ নভেম্বর, ২০১৮]
The Livestock Research Institute Ordinance, 1984 রহিতক্রমে উহার বিধানাবলি বিবেচনাক্রমে সময়ের চাহিদার প্রতিফলনে নূতন আইন প্রণয়নকল্পে প্রণীত আইন
যেহেতু সংবিধান (পঞ্চদশ সংশোধন) আইন, ২০১১ (২০১১ সনের ১৪ নং আইন) দ্বারা ১৯৮২ সালের ২৪ মার্চ হইতে ১৯৮৬ সালের ১১ নভেম্বর পর্যন্ত সময়ের মধ্যে সামরিক ফরমান দ্বারা জারিকৃত অধ্যাদেশসমূহের অনুমোদন ও সমর্থন সংক্রান্ত গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধানের চতুর্থ তপশিলের ১৯ অনুচ্ছেদ বিলুপ্ত হইয়াছে এবং সিভিল আপিল নং ৪৮/২০১১ এ সুপ্রীমকোর্টের আপিল বিভাগ কর্তৃক প্রদত্ত রায়ে সামরিক আইনকে অসাংবিধানিক ঘোষণাপূর্বক উহার বৈধতা প্রদানকারী সংবিধান (সপ্তম সংশোধন) আইন ১৯৮৬, (১৯৮৬ সনের ১নং আইন) বাতিল ঘোষিত হওয়ায় উক্ত সময়কালের অধ্যাদেশসমূহের কার্যকারিতা লোপ পাইয়াছে; এবং

যেহেতু ২০১৩ সনের ৭নং আইন দ্বারা উক্ত অধ্যাদেশসমূহের মধ্যে কতিপয় অধ্যাদেশ কার্যকর রাখা হইয়াছে; এবং

যেহেতু উক্ত অধ্যাদেশসমূহের আবশ্যকতা ও প্রাসঙ্গিকতা পর্যালোচনা করিয়া আবশ্যক বিবেচিত অধ্যাদেশসমূহ সকল স্টেক-হোল্ডার ও সংশ্লিষ্ট সকল মন্ত্রণালয় ও বিভাগের মতামত গ্রহণ করিয়া প্রয়োজনীয় সংশোধন ও পরিমার্জনক্রমে সময়ের চাহিদা প্রতিফলনে বাংলায় নূতন আইন প্রণয়ন করিবার জন্য সরকার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করিয়াছে; এবং

যেহেতু সরকারের উপরি-বর্ণিত সিদ্ধান্তের আলোকে, The Livestock Research Institute Ordinance, 1984 (Ordinance No. XXVIII 1984) রহিতক্রমে উহার বিধানাবলি বিবেচনাক্রমে সময়ের চাহিদা প্রতিফলনে নূতন আইন প্রণয়ন করা সমীচীন ও প্রয়োজন;

সেহেতু এতদ্দ্বারা নিম্নরূপ আইন করা হইল :-

সূচী
ধারাসমূহ
১। সংক্ষিপ্ত শিরোনাম ও প্রবর্তন
২। সংজ্ঞা
৩। ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠা
৪। ইনস্টিটিউটের কার্যালয়, আঞ্চলিক কেন্দ্র, ইত্যাদি
৫। বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিল আইন এর প্রয়োগ
৬। পরিচালনা ও প্রশাসন
৭। বোর্ড গঠন
৮। বোর্ডের কার্যাবলি
৯। বোর্ডের সভা
১০। ইনস্টিটিউটের ক্ষমতা ও কার্যাবলি
১১। প্রাণী বর্জ্যের ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত গবেষণা
১২। মহাপরিচালক
১৩। কর্মচারী নিয়োগ, ইত্যাদি
১৪। তহবিল
১৫। বাজেট
১৬। হিসাবরক্ষণ ও নিরীক্ষা
১৭। প্রতিবেদন
১৮। ফি, ইত্যাদি
১৯। বুদ্ধিবৃত্তিক সম্পত্তি
২০। কমিটি
২১। ক্ষমতা অর্পণ
২২। বিধি প্রণয়নের ক্ষমতা
২৩। প্রবিধান প্রণয়নের ক্ষমতা
২৪। রহিতকরণ ও হেফাজত
২৫। ইংরেজিতে অনূদিত পাঠ প্রকাশ
Copyright © 2010, Legislative and Parliamentary Affairs Division
Ministry of Law, Justice and Parliamentary Affairs

 

বাংলাদেশ প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউট আইন, ২০১৮
( ২০১৮ সনের ৫৩ নং আইন )
[১৪ নভেম্বর, ২০১৮]
     
The Livestock Research Institute Ordinance, 1984 রহিতক্রমে উহার বিধানাবলি বিবেচনাক্রমে সময়ের চাহিদার প্রতিফলনে নূতন আইন প্রণয়নকল্পে প্রণীত আইন
যেহেতু সংবিধান (পঞ্চদশ সংশোধন) আইন, ২০১১ (২০১১ সনের ১৪ নং আইন) দ্বারা ১৯৮২ সালের ২৪ মার্চ হইতে ১৯৮৬ সালের ১১ নভেম্বর পর্যন্ত সময়ের মধ্যে সামরিক ফরমান দ্বারা জারিকৃত অধ্যাদেশসমূহের অনুমোদন ও সমর্থন সংক্রান্ত গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধানের চতুর্থ তপশিলের ১৯ অনুচ্ছেদ বিলুপ্ত হইয়াছে এবং সিভিল আপিল নং ৪৮/২০১১ এ সুপ্রীমকোর্টের আপিল বিভাগ কর্তৃক প্রদত্ত রায়ে সামরিক আইনকে অসাংবিধানিক ঘোষণাপূর্বক উহার বৈধতা প্রদানকারী সংবিধান (সপ্তম সংশোধন) আইন ১৯৮৬, (১৯৮৬ সনের ১নং আইন) বাতিল ঘোষিত হওয়ায় উক্ত সময়কালের অধ্যাদেশসমূহের কার্যকারিতা লোপ পাইয়াছে; এবং

যেহেতু ২০১৩ সনের ৭নং আইন দ্বারা উক্ত অধ্যাদেশসমূহের মধ্যে কতিপয় অধ্যাদেশ কার্যকর রাখা হইয়াছে; এবং

যেহেতু উক্ত অধ্যাদেশসমূহের আবশ্যকতা ও প্রাসঙ্গিকতা পর্যালোচনা করিয়া আবশ্যক বিবেচিত অধ্যাদেশসমূহ সকল স্টেক-হোল্ডার ও সংশ্লিষ্ট সকল মন্ত্রণালয় ও বিভাগের মতামত গ্রহণ করিয়া প্রয়োজনীয় সংশোধন ও পরিমার্জনক্রমে সময়ের চাহিদা প্রতিফলনে বাংলায় নূতন আইন প্রণয়ন করিবার জন্য সরকার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করিয়াছে; এবং

যেহেতু সরকারের উপরি-বর্ণিত সিদ্ধান্তের আলোকে, The Livestock Research Institute Ordinance, 1984 (Ordinance No. XXVIII 1984) রহিতক্রমে উহার বিধানাবলি বিবেচনাক্রমে সময়ের চাহিদা প্রতিফলনে নূতন আইন প্রণয়ন করা সমীচীন ও প্রয়োজন;

সেহেতু এতদ্দ্বারা নিম্নরূপ আইন করা হইল :-

সংক্ষিপ্ত শিরোনাম ও প্রবর্তন
১। (১) এই আইন বাংলাদেশ প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউট আইন, ২০১৮ নামে অভিহিত হইবে।

(২) ইহা অবিলম্বে কার্যকর হইবে।

সংজ্ঞা
২। বিষয় বা প্রসঙ্গের পরিপন্থি কিছু না থাকিলে, এই আইনে-

(১) ‘‘ইনস্টিটিউট’’ অর্থ ধারা-৩ এর অধীন প্রতিষ্ঠিত বাংলাদেশ প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউট;

(২) ‘‘কো-চেয়ারম্যান’’ অর্থ বোর্ডের কো-চেয়ারম্যান;

(৩) ‘‘চেয়ারম্যান’’ অর্থ বোর্ডের চেয়ারম্যান;

(৪) ‘‘প্রবিধান’’ অর্থ এই আইনের অধীন প্রণীত প্রবিধান;

(৫) ‘‘প্রাণিসম্পদ বা প্রাণী’’ অর্থ যে কোনো প্রাণী বা পোল্ট্রি যাহা গৃহে বা খামারে লালন-পালন করা যায় এবং এতদুদ্দেশ্যে সরকার কর্তৃক, সময় সময়, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা ঘোষিত অন্য কোনো প্রাণী;

(৬) ‘‘পোল্ট্রি’’ অর্থ গৃহে বা খামারে লালন-পালন করা যায় এইরূপ কোনো পাখি;

(৭) ‘‘বিধি’’ অর্থ এই আইনের অধীন প্রণীত বিধি;

(৮) ‘‘বোর্ড’’ অর্থ ধারা ৭ এর অধীন গঠিত পরিচালনা বোর্ড;

(৯) ‘‘মহাপরিচালক’’ অর্থ ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক; এবং

(১০) ‘‘সদস্য’’ অর্থ বোর্ডের সদস্য।

ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠা
৩। (১) Livestock Research Institute Ordinance, 1984 (Ordinance No. XXVIII of 1984) এর অধীন প্রতিষ্ঠিত Livestock Research Institute এই আইনের অধীন বাংলাদেশ প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউট নামে একটি ইন্সটিটিউট প্রতিষ্ঠিত হইয়াছে বলিয়া গণ্য হইবে।

(২) ইনস্টিটিউট একটি সংবিধিবদ্ধ সংস্থা হইবে এবং ইহার স্থায়ী ধারাবাহিকতা ও একটি সাধারণ সিলমোহর থাকিবে এবং এই আইনের বিধানাবলি সাপেক্ষে, ইহার স্থাবর ও অস্থাবর উভয় প্রকার সম্পত্তি অর্জন করিবার, অধিকারে রাখিবার এবং হস্তান্তর করিবার ক্ষমতা থাকিবে এবং ইহা স্বীয় নামে মামলা দায়ের করিতে পারিবে এবং উক্ত নামে ইহার বিরুদ্ধেও মামলা দায়ের করা যাইবে।

ইনস্টিটিউটের কার্যালয়, আঞ্চলিক কেন্দ্র, ইত্যাদি
৪। (১) ইনস্টিটিউটের প্রধান কার্যালয় ঢাকায় থাকিবে।

(২) বোর্ড প্রয়োজনে, সরকারের পূর্বানুমোদনক্রমে, দেশের যে কোনো স্থানে উহার আঞ্চলিক কেন্দ্র স্থাপন করিতে পারিবে।

বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিল আইন এর প্রয়োগ
৫। (১) বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিল আইন, ২০১২ (২০১২ সনের ১৩ নং আইন) এর ধারা ৩ এর অধীন গঠিত কাউন্সিল কর্তৃক প্রদত্ত নির্দেশ, সুপারিশ বা পরামর্শ ইনস্টিটিউট কর্তৃক প্রতিপালিত হইবে :

তবে শর্ত থাকে যে, যদি ইনস্টিটিউটের নিকট প্রতীয়মান হয় যে, উক্তরূপ কোনো সুপারিশ বা পরামর্শ প্রতিপালন করা সম্ভব নয়, তাহা হইলে ইনস্টিটিউট, অনতিবিলম্বে কারণ উল্লেখপূর্বক উহার মতামত কাউন্সিলকে অবহিত করিবে।

(২) উপ-ধারা (১) এর অধীন ইনস্টিটিউটের নিকট হইতে প্রাপ্ত মতামত বিবেচনা করিয়া কাউন্সিল তদকর্তৃক প্রদত্ত কোনো সুপারিশ বা পরামর্শ সংশোধন বা বাতিল করিতে পারিবে বা উক্ত বিষয়ে নূতন কোনো সুপারিশ বা পরামর্শ প্রদান করিতে পারিবে।

পরিচালনা ও প্রশাসন
৬। ইনস্টিটিউটের পরিচালনা ও প্রশাসন একটি বোর্ডের অধীন ন্যস্ত থাকিবে এবং ইনস্টিটিউট যে সকল ক্ষমতা প্রয়োগ ও কার্য সম্পাদন করিতে পারিবে বোর্ডও সে সকল ক্ষমতা প্রয়োগ ও কার্যসম্পাদন করিতে পারিবে।
বোর্ড গঠন
৭। (১) নিম্নবর্ণিত সদস্য সমন্বয়ে ইনস্টিটিউটের একটি পরিচালনা বোর্ড গঠিত হইবে, যথা :-

(ক) মন্ত্রী, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়, যিনি বোর্ডের চেয়ারম্যানও হইবেন;

(খ) প্রতিমন্ত্রী বা উপ-মন্ত্রী, যদি থাকে, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়, যিনি বোর্ডের কো-চেয়ারম্যানও হইবেন;

(গ) জাতীয় সংসদের স্পিকার কর্তৃক মনোনীত ২ (দুই) জন সংসদ-সদস্য;

(ঘ) সচিব, মৎস ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়, যিনি বোর্ডের ভাইস-চেয়ারম্যানও হইবেন;

(ঙ) সদস্য (কৃষি, পানি সম্পদ ও পল্লী প্রতিষ্ঠান) পরিকল্পনা কমিশন;

(চ) উপাচার্য, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়;

(ছ) নির্বাহী চেয়ারম্যান, বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিল;

(জ) অর্থ বিভাগ কর্তৃক মনোনীত অন্যূন অতিরিক্ত সচিব পদমর্যাদার ১(এক) জন প্রতিনিধি;

(ঝ) মহাপরিচালক, প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর;

(ঞ) সরকার কর্তৃক মনোনীত ইনস্টিটিউটের গবেষণা কর্মে নিয়োজিত ২(দুই) জন কর্মচারী;

(ট) সরকার কর্তৃক মনোনীত প্রাণিসম্পদ সংক্রান্ত বিষয়ে অভিজ্ঞ ও আগ্রহী ২(দুই) জন ব্যক্তি, যাহাদের মধ্যে ১ (এক) জন মহিলা হইবেন;

(ঠ) মহাপরিচালক, যিনি বোর্ডের সদস্য-সচিবও হইবেন।

(২) উপ-ধারা (১) এর দফা (ক) ও (খ) এ যাহা কিছুই থাকুক না কেন, মন্ত্রী না থাকিলে এবং প্রতিমন্ত্রী ও উপ-মন্ত্রী থাকিলে প্রতিমন্ত্রী চেয়ারম্যান ও উপ-মন্ত্রী কো-চেয়ারম্যান হইবে এবং মন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রী না থাকিলে উপ-মন্ত্রী চেয়ারম্যান হইবেন।

(৩) উপ-ধারা (১) এর অধীন মনোনীত সদস্যগণ তাহাদের মনোনয়নের তারিখ হইতে পরবর্তী ৩ (তিন) বৎসর মেয়াদে স্বীয় পদে বহাল থাকিবেন :

তবে শর্ত থাকে যে, সরকার, উক্ত মেয়াদ শেষ হইবার পূর্বে যে কোনো সময়, কারণ দর্শানো ব্যতিরেকে মনোনীত কোনো সদস্যকে পদ হইতে অব্যাহতি প্রদান করিতে পারিবে।

(৪) কোনো সদস্য যে কোনো সময় সরকারের উদ্দেশ্যে তাহার স্বাক্ষরযুক্ত পত্রযোগে পদত্যাগ করিতে পারিবেন।

বোর্ডের কার্যাবলি
৮। (১) বোর্ডের কার্যাবলি হইবে নিম্নরূপ, যথা :-

(ক) ইনস্টিটিউটের প্রশাসনিক ও আর্থিক বিষয়াদির নীতিগত অনুমোদন;

(খ) ইনস্টিটিউটের কার্যাবলির তত্ত্বাবধান এবং দিক নির্দেশনা প্রদান;

(গ) ইনস্টিটিউটের নীতিগত বিষয়ে সিদ্ধান্ত প্রদান;

(ঘ) ইনস্টিটিউট পরিচালনার জন্য প্রয়োজনীয় নীতিমালা, কর্ম পরিকল্পনা প্রণয়ন ও অনুমোদন;

(ঙ) ঋণ গ্রহণের বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ ও এতদসংক্রান্ত প্রস্তাব অনুমোদন;

(চ) বিদেশে উচ্চ শিক্ষা বা গবেষণার জন্য আর্থিক সহায়তার প্রস্তাব অনুমোদন;

(ছ) এই আইনের সহিত সামঞ্জস্যপূর্ণ সরকারি কোনো নির্দেশ বা কর্মসূচী বাস্তবায়ন।

(২) বোর্ড উহার দায়িত্ব পালন ও কার্য সম্পাদনের ক্ষেত্রে এই আইন, বিধি এবং প্রবিধান অনুসরণ করিবে।

বোর্ডের সভা
৯। (১) এই ধারার অন্যান্য বিধানাবলি সাপেক্ষে, বোর্ড উহার সভার কার্যপদ্ধতি নির্ধারণ করিতে পারিবে।

(২) চেয়ারম্যান কর্তৃক নির্ধারিত তারিখ, সময় ও স্থানে বোর্ডের সভা অনুষ্ঠিত হইবে।

(৩) প্রতি ৩ (তিন) মাসে বোর্ডের অন্যূন ১ (এক) টি সভা অনুষ্ঠিত হইবে।

(৪) বোর্ডের সদস্য-সচিব, চেয়ারম্যানের সম্মতিক্রমে, লিখিত নোটিশ দ্বারা বোর্ডের সভা আহবান করিবেন।

(৫) চেয়ারম্যান বোর্ডের সকল সভায় সভাপতিত্ব করিবেন, তবে তাহার অনুপস্থিতিতে কো-চেয়ারম্যান এবং উভয়ের অনুপস্থিতিতে ভাইস-চেয়ারম্যান সভায় সভাপতিত্ব করিবেন।

(৬) বোর্ডের সভার কোরামের জন্য উহার মোট সদস্য সংখ্যার অন্যূন এক-তৃতীয়াংশ সদস্যের উপস্থিতির প্রয়োজন হইবে, তবে মুলতবি সভার ক্ষেত্রে কোনো কোরামের প্রয়োজন হইবে না।

(৭) প্রত্যেক সভার কার্যবিবরণী সংরক্ষণ, সদস্যদের নিকট প্রেরণ এবং পরবর্তী বোর্ড সভায় উপস্থাপন করিতে হইবে।

(৮) বোর্ডের সভায় উপস্থিত প্রত্যেক সদস্যের একটি করিয়া ভোট থাকিবে এবং সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোটের ভিত্তিতে সভায় সিদ্ধান্ত গৃহীত হইবে, তবে প্রদত্ত ভোটের সমতার ক্ষেত্রে সভাপতি নির্ণায়ক ভোট প্রদান করিতে পারিবেন।

(৯) বোর্ডের কোনো সদস্য পদে শূন্যতা বা বোর্ড গঠনে ত্রুটি থাকিবার কারণে বোর্ডের কার্য বা কার্যধারা অবৈধ হইবে না এবং তদসম্পর্কে কোনো প্রশ্নও উত্থাপন করা যাইবে না।

 

 

 

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here