বাংলাদেশ রিহ্যাবিলিটেশন কাউন্সিল আইন, ২০১৮
( ২০১৮ সনের ৭১ নং আইন )
[১৪ নভেম্বর, ২০১৮]
 
 
 
রিহ্যাবিলিটেশন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান শিক্ষা কার্যক্রম বা পাঠ্যক্রমের স্বীকৃতি, রিহ্যাবিলিটেশন সেবা প্রতিষ্ঠান বা ইউনিট অনুমোদন, রিহ্যাবিলিটেশন পেশাজীবীর নিবন্ধন, এবং উহাদের যোগ্যতা সেবার মান নির্ধারণ নিশ্চিতকরণের উদ্দেশ্যে কাউন্সিল গঠন এবং এতৎসংশ্লিষ্ট বিধান প্রণয়নকল্পে প্রণীত আইন
 
যেহেতু রিহ্যাবিলিটেশন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, শিক্ষা কার্যক্রম বা পাঠ্যক্রমের স্বীকৃতি, রিহ্যাবিলিটেশন সেবা প্রতিষ্ঠান বা ইউনিট অনুমোদন, রিহ্যাবিলিটেশন পেশাজীবীর নিবন্ধন, এবং উহাদের যোগ্যতা ও সেবার মান নির্ধারণ ও নিশ্চিতকরণের উদ্দেশ্যে কাউন্সিল গঠন এবং এতৎসংশ্লিষ্ট বিধান প্রণয়ন করা সমীচীন ও প্রয়োজনীয়;

সেহেতু এতদ্দ্বারা নিম্নরূপ আইন করা হইল, যথা:-

 
সূচী
ধারাসমূহ
 
১। সংক্ষিপ্ত শিরোনাম ও প্রবর্তন
২। সংজ্ঞা
৩। কাউন্সিল প্রতিষ্ঠা
৪। কাউন্সিলের কার্যালয়
৫। কাউন্সিলের গঠন
৬। কাউন্সিলের দায়িত্ব ও কার্যাবলি
৭। কাউন্সিলের সভা
৮। কাউন্সিলের রেজিস্ট্রার
৯। কর্মচারী নিয়োগ
১০। নির্বাহী কমিটি
১১। কমিটি
১২। কাউন্সিলের তহবিল
১৩। রিহ্যাবিলিটেশন শিক্ষা কার্যক্রম ও রিহ্যাবিলিটেশন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের স্বীকৃতি
১৪। রিহ্যাবিলিটেশন সেবা প্রতিষ্ঠান অথবা রিহ্যাবিলিটেশন সেবা ইউনিট, ইত্যাদির অনুমোদন
১৫। রিহ্যাবিলিটেশন পেশাজীবীর নিবন্ধন এবং রিহ্যাবিলিটেশন প্রাকটিশনারকে লাইসেন্স প্রদান
১৬। বাংলাদেশের বাহিরের প্রতিষ্ঠান কর্তৃক প্রদত্ত রিহ্যাবিলিটেশন শিক্ষাসংক্রান্ত যোগ্যতার স্বীকৃতি
১৭। স্বীকৃতি প্রত্যাহার
১৮। কাউন্সিল কর্তৃক রিহ্যাবিলিটেশন পেশাজীবীদের নিবন্ধনবহি সংরক্ষণ, ইত্যাদি
১৯। রিহ্যাবিলিটেশন পেশাজীবীগণ কর্তৃক ব্যবহার্য পদবি, ডিগ্রি, চিহ্ন, ইত্যাদি
২০। মিথ্যা উপাধি, ডিগ্রি, চিহ্ন অথবা বর্ণনা ব্যবহার নিষিদ্ধ এবং উহার দণ্ড
২১। নিবন্ধন ব্যতীত মিথ্যা অথবা নকল ডিগ্রি ব্যবহার নিষিদ্ধ এবং উহার দণ্ড
২২। নিবন্ধন বহি (Register) হইতে নাম কর্তন অথবা নিবন্ধন বাতিল
২৩। আপিল
২৪। রিহ্যাবিলিটেশন পেশাজীবীর মৃত্যুসংক্রান্ত তথ্যাদি অবহিতকরণ
২৫। রেজিস্টারসমূহ সরকারি দলিল
২৬। বাজেট
২৭। হিসাবরক্ষণ ও নিরীক্ষা
২৮। প্রতিবেদন
২৯। অপরাধ বিচারার্থ গ্রহণ ও বিচার
৩০। অর্থদণ্ড সংক্রান্ত বিশেষ বিধান
৩১। মোবাইল কোর্ট আইন, ২০০৯ এর প্রয়োগ
৩২। বিধি প্রণয়নের ক্ষমতা
৩৩। প্রবিধান প্রণয়নের ক্ষমতা
৩৪। তফশিল সংশোধন
৩৫। অস্পষ্টতা দূরীকরণ
৩৬। ক্ষমতা অর্পণ
৩৭। ইংরেজিতে অনূদিত পাঠ প্রকাশ
   

 

 
 
 
বাংলাদেশ রিহ্যাবিলিটেশন কাউন্সিল আইন, ২০১৮
( ২০১৮ সনের ৭১ নং আইন )
  [১৪ নভেম্বর, ২০১৮]
     
     

রিহ্যাবিলিটেশন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান শিক্ষা কার্যক্রম বা পাঠ্যক্রমের স্বীকৃতি, রিহ্যাবিলিটেশন সেবা প্রতিষ্ঠান বা ইউনিট অনুমোদন, রিহ্যাবিলিটেশন পেশাজীবীর নিবন্ধন, এবং উহাদের যোগ্যতা সেবার মান নির্ধারণ নিশ্চিতকরণের উদ্দেশ্যে কাউন্সিল গঠন এবং এতৎসংশ্লিষ্ট বিধান প্রণয়নকল্পে প্রণীত আইন

 
যেহেতু রিহ্যাবিলিটেশন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, শিক্ষা কার্যক্রম বা পাঠ্যক্রমের স্বীকৃতি, রিহ্যাবিলিটেশন সেবা প্রতিষ্ঠান বা ইউনিট অনুমোদন, রিহ্যাবিলিটেশন পেশাজীবীর নিবন্ধন, এবং উহাদের যোগ্যতা ও সেবার মান নির্ধারণ ও নিশ্চিতকরণের উদ্দেশ্যে কাউন্সিল গঠন এবং এতৎসংশ্লিষ্ট বিধান প্রণয়ন করা সমীচীন ও প্রয়োজনীয়;

সেহেতু এতদ্দ্বারা নিম্নরূপ আইন করা হইল, যথা:-

   
 
সংক্ষিপ্ত শিরোনাম প্রবর্তন   ১। (১) এই আইন বাংলাদেশ রিহ্যাবিলিটেশন কাউন্সিল আইন, ২০১৮ নামে অভিহিত হইবে।

(২) ইহা অবিলম্বে কার্যকর হইবে।

   
   
 
সংজ্ঞা   ২। বিষয় বা প্রসঙ্গের পরিপন্থি কোনো কিছু না থাকিলে, এই আইনে,-

(১) “কাউন্সিল” অর্থ ধারা ৩ এর অধীন প্রতিষ্ঠিত বাংলাদেশ রিহ্যাবিলিটেশন কাউন্সিল;

(২) “তপশিল” অর্থ এই আইনের সহিত সংযুক্ত কোনো তপশিল;

(৩) “নির্বাহী কমিটি” অর্থ ধারা ১০ এর অধীন গঠিত নির্বাহী কমিটি;

(৪) “প্রতিবন্ধী ব্যক্তি” অর্থ প্রতিবন্ধী ব্যক্তির অধিকার ও সুরক্ষা আইন, ২০১৩ এর ধারা ৩ এ বর্ণিত প্রতিবন্ধী ব্যক্তি;

(৫) “প্রবিধান” অর্থ এই আইনের অধীন প্রণীত কোনো প্রবিধান;

(৬) “ফৌজদারী কার্যবিধি’’ অর্থ Code of Criminal Procedure, 1898 (Act V of 1898);

(৭) “বিধি’’ অর্থ এই আইনের অধীন প্রণীত কোনো বিধি;

(৮) “রিহ্যাবিলিটেশন” অর্থ কতিপয় স্বীকৃত পদ্ধতি অথবা ব্যবস্থার সমষ্টি, যাহা প্রতিবন্ধী ব্যক্তি অথবা প্রতিবন্ধিতার ঝুঁকিতে রহিয়াছে এইরূপ কোনো ব্যক্তির প্রাত্যহিক অথবা ব্যবহারিক জীবনমানের প্রত্যাশিত উন্নয়ন ঘটাইবার মাধ্যমে জীবনের সকলক্ষেত্রে পারিপার্শ্বিক পরিবেশের সহিত স্বাভাবিক ও অর্থপূর্ণ অংশগ্রহণ নিশ্চিত করে;

(৯) “রিহ্যাবিলিটেশন টেকনিশিয়ান” অর্থ কাউন্সিল কর্তৃক এই আইনের অধীন নিবন্ধিত এমন কোনো টেকনিশিয়ান, যাহার তৃতীয় তপশিলে উল্লিখিত যোগ্যতা রহিয়াছে, এবং যিনি রিহ্যাবিলিটেশন প্রাকটিশনারের তত্ত্বাবধানে সেবা প্রদান করেন;

(১০) “রিহ্যাবিলিটেশন টেকনোলজিস্ট” অর্থ কাউন্সিল কর্তৃক এই আইনের অধীন নিবন্ধিত এমন কোনো টেকনোলজিস্ট, যাহার দ্বিতীয় তপশিলে উল্লিখিত যোগ্যতা রহিয়াছে, এবং যিনি রিহ্যাবিলিটেশন প্রাকটিশনারের তত্ত্বাবধানে সেবা প্রদান করেন;

(১১) “রিহ্যাবিলিটেশন পেশাজীবী” অর্থ কাউন্সিল কর্তৃক এই আইনের অধীন নিবন্ধিত এমন কোনো পেশাজীবী যাহার প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় তপশিলে উল্লিখিত যোগ্যতা রহিয়াছে;

(১২) “রিহ্যাবিলিটেশন প্রাকটিশনার” অর্থ কাউন্সিল কর্তৃক এই আইনের অধীন লাইসেন্স প্রাপ্ত কোনো রিহ্যাবিলিটেশন প্রাকটিশনার, যাহার প্রথম তপশিলে উল্লিখিত যোগ্যতা রহিয়াছে;

(১৩) “রিহ্যাবিলিটেশন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান” অর্থ চতুর্থ, পঞ্চম ও ষষ্ঠ তপশিলে উল্লিখিত রিহ্যাবিলিটেশন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান;

(১৪) “রিহ্যাবিলিটেশন সেবা ইউনিট” অর্থ কাউন্সিল কর্তৃক এই আইনের অধীন অনুমোদিত কোনো সরকারি বা বেসরকারি হাসপাতালের অধীন রিহ্যাবিলিটেশন সেবা প্রদানের নিমিত্ত সৃষ্ট সেন্টার, বিভাগ বা ইউনিট;

(১৫) “রিহ্যাবিলিটেশন সেবা প্রতিষ্ঠান” অর্থ কাউন্সিল কর্তৃক এই আইনের অধীন অনুমোদিত কোনো রিহ্যাবিলিটেশন সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান;

(১৬) “রেজিস্ট্রার” অর্থ ধারা ৮ এর অধীন নিয়োগকৃত কাউন্সিলের রেজিস্ট্রার; এবং

(১৭) “স্বীকৃত প্রতিষ্ঠান” অর্থ পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় অথবা মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় অথবা বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন অথবা ক্ষেত্রবিশেষে রাষ্ট্রীয় চিকিৎসা অনুষদ (State Medical Faculty) কর্তৃক অনুমোদিত প্রতিষ্ঠান।

   
   
 
কাউন্সিল প্রতিষ্ঠা   ৩। (১) এই আইন কার্যকর হইবার পর যথাশীঘ্র সম্ভব সরকার, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, বাংলাদেশ রিহ্যাবিলিটেশন কাউন্সিল নামে একটি কাউন্সিল প্রতিষ্ঠা করিবে।

(২) কাউন্সিল একটি সংবিধিবদ্ধ সংস্থা হইবে এবং ইহার স্থায়ী ধারাবাহিকতা ও একটি সাধারণ সিলমোহর থাকিবে, এবং এই আইনের বিধানাবলি সাপেক্ষে, ইহার স্থাবর ও অস্থাবর উভয় প্রকার সম্পত্তি অর্জন করিবার, অধিকারে রাখিবার, হস্তান্তর করিবার এবং চুক্তি সম্পাদন করিবার ক্ষমতা থাকিবে এবং ইহা স্বীয় নামে মামলা দায়ের করিতে পারিবে এবং ইহার বিরুদ্ধেও মামলা দায়ের করা যাইবে।

   
   
 
কাউন্সিলের কার্যালয়   ৪। (১) কাউন্সিলের প্রধান কার্যালয় ঢাকায় অবস্থিত হইবে।

(২) সরকার, প্রয়োজনবোধে, দেশের যে কোনো স্থানে কাউন্সিলের অধঃস্তন বা শাখা কার্যালয় স্থাপন করিতে পারিবে।

   
   
 
কাউন্সিলের গঠন   ৫। (১) কাউন্সিল নিম্নবর্ণিত সদস্য সমন্বয়ে গঠিত হইবে, যথা:-

(ক) সচিব, সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়, যিনি কাউন্সিলের সভাপতিও হইবেন;

(খ) স্বাস্থ্য সেবা বিভাগ কর্তৃক মনোনীত একজন অতিরিক্ত সচিব;

(গ) চেয়ারপার্সন, নিউরো ডেভেলপমেন্টাল প্রতিবন্ধী সুরক্ষা ট্রাস্টি বোর্ড;

(ঘ) মহাপরিচালক, সমাজসেবা অধিদপ্তর;

(ঙ) মহাপরিচালক, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর;

(চ) ব্যবস্থাপনা পরিচালক, জাতীয় প্রতিবন্ধী উন্নয়ন ফাউন্ডেশন;

(ছ) স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগ কর্তৃক মনোনীত একজন অন্যূন যুগ্মসচিব;

(জ) গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় কর্তৃক মনোনীত একজন অন্যূন যুগ্মসচিব;

(ঝ) শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় কর্তৃক মনোনীত একজন অন্যূন যুগ্মসচিব;

(ঞ) লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক বিভাগ কর্তৃক মনোনীত একজন অন্যূন যুগ্মসচিব;

(ট) মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ কর্তৃক মনোনীত একজন অন্যূন যুগ্মসচিব;

(ঠ) কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগ কর্তৃক মনোনীত একজন অন্যূন যুগ্মসচিব;

(ড) মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় কর্তৃক মনোনীত একজন অন্যূন যুগ্মসচিব;

(ঢ) প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় কর্তৃক মনোনীত একজন অন্যূন যুগ্মসচিব;

(ণ) সরকার কর্তৃক মনোনীত পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়সমূহের সংশ্লিষ্ট অনুষদের ডিনগণ হইতে অনধিক ০৩ (তিন) জন ডিন;

(ত) বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের চেয়ারম্যান কর্তৃক মনোনীত একজন সদস্য;

(থ) ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব ট্রমাটোলজি অ্যান্ড অর্থোপেডিক রিহ্যাবিলিটেশন (National Institute of Traumatology and Orthopaedic Rehabilitation) এর পরিচালক বা তদকর্তৃক মনোনীত একজন প্রতিনিধি;

(দ) পরিচালক, বাংলাদেশ মেডিক্যাল রিসার্চ কাউন্সিল;

(ধ) সরকার কর্তৃক মনোনীত (অধ্যাপক পদমর্যাদার) একজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক, যিনি রিহ্যাবিলিটেশন সেবা সংশ্লিষ্ট কর্মকাণ্ডে ন্যূনতম ১৫ (পনেরো) বৎসর যাবৎ সম্পৃক্ত;

(ন) বাংলাদেশ ফিজিক্যাল মেডিসিন ও রিহ্যাবিলিটেশন সংস্থা (Bangladesh Association of Physical Medicine and Rehabilitation) কর্তৃক মনোনীত একজন সদস্য;

(প) ট্রাস্ট ফর রিহ্যাবিলিটেশন অব দি প্যারালাইজড কর্তৃক মনোনীত একজন সদস্য;

(ফ) সভাপতি, বাংলাদেশ মেডিক্যাল ও ডেন্টাল কাউন্সিল অথবা তৎকর্তৃক মনোনীত উক্ত কাউন্সিলের একজন অন্যূন ডেপুটি নিবন্ধক;

(ব) সরকার কর্তৃক মনোনীত প্রতিবন্ধী ব্যক্তির রিহ্যাবিলিটেশনে সক্রিয়ভাবে কর্মরত একজন ব্যক্তি;

(ভ) বাংলাদেশ মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন কর্তৃক মনোনীত একজন প্রতিনিধি;

(ম) সরকার কর্তৃক মনোনীত প্রথম তপশিলের (১) আবশ্যিকভাবে, (২) ও (৩) সংশ্লিষ্ট পেশাজীবী সংগঠনসমূহের প্রতিটি হইতে ন্যূনতম ০১ (এক) জন প্রতিনিধিসহ সর্বমোট ০৫ (পাঁচ) জন প্রতিনিধি;

(য) সরকার কর্তৃক মনোনীত সেবা গ্রহণকারীদের মধ্য হইতে একজন প্রতিনিধি; এবং

(র) কাউন্সিলের রেজিস্ট্রার, যিনি কাউন্সিলের সদস্য-সচিবও হইবেন।

(২) উপ-ধারা (২) এর দফা (ধ), (ন), (ফ), (ব), (ভ), (ম) ও (য) তে উল্লিখিত মনোনীত সদস্যগণ তাহাদের মনোনয়নের তারিখ হইতে ৩ (তিন) বৎসর মেয়াদে স্বীয় পদে বহাল থাকিবেন:

তবে শর্ত থাকে যে, উপ-ধারা (২) এ উল্লিখিত মেয়াদ শেষ হইবার পূর্বে মনোনয়ন প্রদানকারী কর্তৃপক্ষ উক্ত যে কোনো সদস্যকে তাহার দায়িত্ব হইতে যে কোনো সময় অব্যাহতি প্রদান করিতে পারিবে।

(৩) কাউন্সিলের কোনো সদস্য, সভাপতি বরাবরে স্বাক্ষরযুক্ত পত্রযোগে স্বীয় পদ ত্যাগ করিতে পারিবেন, তবে সভাপতি কর্তৃক গৃহীত না হওয়া পর্যন্ত উক্ত পদত্যাগ কার্যকর হইবে না।

(৪) কোনো ব্যক্তি একাধিক যোগ্যতায় কাউন্সিলের সদস্য হইতে বা থাকিতে পারিবে না।

ব্যাখ্যা ।- এই ধারার উদ্দেশ্য পূরণকল্পে “পেশাজীবী সংগঠন” বলিতে প্রথম তপশিলে উল্লিখিত রিহ্যাবিলিটেশন প্র্যাকটিশনারের পেশা সংশ্লিষ্ট ও সরকারের যথাযথ নিবন্ধনকারী কর্তৃপক্ষ কর্তৃক পেশাজীবী সংগঠন হিসাবে নিবন্ধনপ্রাপ্ত সংগঠনকে বুঝাইবে।

   
   
 
কাউন্সিলের দায়িত্ব কার্যাবলি   ৬। কাউন্সিলের দায়িত্ব ও কার্যাবলি হইবে নিম্নরূপ, যথা:-

(ক) বাংলাদেশে স্বীকৃত প্রতিষ্ঠান বা রিহ্যাবিলিটেশন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কর্তৃক রিহ্যাবিলিটেশন প্রাকটিশনার, রিহ্যাবিলিটেশন টেকনোলজিস্ট ও রিহ্যাবিলিটেশন টেকনিশিয়ানকে প্রদত্ত শিক্ষাগত যোগ্যতার স্বীকৃতি প্রদান;

(খ) বাংলাদেশের বাহিরে অবস্থিত রিহ্যাবিলিটেশন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান অথবা সমজাতীয় প্রতিষ্ঠান কর্তৃক প্রদত্ত রিহ্যাবিলিটেশন শিক্ষা যোগ্যতার স্বীকৃতি প্রদান;

(গ) অন্য কোনো দেশের রিহ্যাবিলিটেশন কাউন্সিল বা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সহিত আলোচনার মাধ্যমে সেই দেশের রিহ্যাবিলিটেশন বিষয়ক শিক্ষাগত যোগ্যতার বিষয়ে পারস্পরিক সমঝোতার ভিত্তিতে স্বীকৃতি প্রদানসহ এতদসংক্রান্ত পরিকল্পনা গ্রহণ ও পরিচালনা;

(ঘ) রিহ্যাবিলিটেশন পেশাজীবীদের জন্য আবশ্যিক পেশাগত বা শিক্ষাগত যোগ্যতার ন্যূনতম ও অভিন্ন মান নির্ধারণ, পাঠ্যসূচি ও পাঠক্রমের মান ও মেয়াদ নির্ধারণ;

(ঙ) রিহ্যাবিলিটেশন পেশাজীবীদের জন্য আবশ্যিক পেশাগত বা শিক্ষাগত যোগ্যতার সকল পর্যায়ে ভর্তির যোগ্যতা, নীতিমালা ও শর্তাদি নির্ধারণ;

(চ) রিহ্যাবিলিটেশন পেশাজীবীদের জন্য পেশাগত বা শিক্ষাগত যোগ্যতা সংক্রান্ত পরীক্ষা গ্রহণ, পরীক্ষা গ্রহণ পদ্ধতি এবং অন্যান্য আনুষঙ্গিক বিষয়ের ন্যূনতম মান নির্ধারণ;

(ছ) রিহ্যাবিলিটেশন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নিয়োগের লক্ষ্যে শিক্ষকগণের ন্যূনতম শিক্ষাগত, পেশাগত যোগ্যতা ও অভিজ্ঞতার মান নির্ধারণ;

(জ) রিহ্যাবিলিটেশন পেশাজীবীগণের নিবন্ধন ও রিহ্যাবিলিটেশন প্রাকটিশনারদের পরীক্ষা গ্রহণপূর্বক লাইসেন্স প্রদান;

(ঝ) রিহ্যাবিলিটেশন প্রাকটিশনারদের লাইসেন্স প্রদানের নিমিত্ত পরীক্ষা গ্রহণ, পরীক্ষা গ্রহণ পদ্ধতি, পরীক্ষা পরিচালনার লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় বোর্ড গঠন এবং আনুষঙ্গিক বিষয়াদি নির্ধারণ;

(ঞ) তপশিল সংশোধনের নিমিত্ত সরকারের নিকট প্রস্তাব প্রেরণ;

(ট) রিহ্যাবিলিটেশন পেশাজীবীদের নিবন্ধন প্রদান, নিবন্ধন বহি (Register) প্রণয়ন, প্রকাশ, সংরক্ষণ ও প্রতিনিয়ত হালনাগাদকরণ;

(ঠ) রিহ্যাবিলিটেশন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, রিহ্যাবিলিটেশন সেবা ইউনিট ও রিহ্যাবিলিটেশন সেবা প্রতিষ্ঠানসমূহ যে-কোনো সময় পরিদর্শন করা, এবং এতদুদ্দেশ্যে প্রয়োজনীয় সংখ্যক বিশেষজ্ঞের মাধ্যমে পরিদর্শন কার্য সম্পাদন;

(ড) রিহ্যাবিলিটেশন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমূহ স্বীকৃতি প্রদানের লক্ষ্যে সুপারিশ প্রদান;

(ঢ) রিহ্যাবিলিটেশন সেবা প্রতিষ্ঠান বা রিহ্যাবিলিটেশন সেবা ইউনিট অনুমোদন প্রদান;

(ণ) নিবন্ধন, পরীক্ষা গ্রহণ, পরিদর্শন ফি ও অন্যান্য ফি নির্ধারণ;

(ত) এই আইনের অধীন নিবন্ধিত নহে অথচ রিহ্যাবিলিটেশন পেশায় নিয়োজিত রহিয়াছে এইরূপ ব্যক্তির বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ;

(থ) রিহ্যাবিলিটেশন প্রাকটিশনার, রিহ্যাবিলিটেশন টেকনোলজিস্ট ও রিহ্যাবিলিটেশন টেকনিশয়ানদের ভুয়া পদবি, ডিগ্রি, প্রতারণামূলক প্রতিনিধিত্ব বা নিয়ন্ত্রণের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ;

(দ) রিহ্যাবিলিটেশন পেশাজীবীর পেশাগত কর্মকান্ডের পরিধি ও সীমা নির্ধারণ;

(ধ) রিহ্যাবিলিটেশন পেশাজীবীর পেশাগত অসদাচরণের ক্ষেত্রে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ;

(ন) কাউন্সিলের সকল স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তির ব্যবস্থাপনা ও রক্ষণাবেক্ষণ এবং উহার হিসাব নিরীক্ষা;

(প) রিহ্যাবিলিটেশন পেশাজীবীর জন্য অনুসরণীয় পেশাগত আচরণের মান নির্ধারণ ও অনুসরণের বিষয়টি নিশ্চিতকরণ;

(ফ) দেশি বা বিদেশি কোনো রিহ্যাবিলিটেশন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কর্তৃক প্রদত্ত ডিগ্রি বা ডিপ্লোমা বা সার্টিফিকেটের মান নিয়মিত মূল্যায়ন এবং প্রযোজ্য ক্ষেত্রে তপশিল সংশোধনের উদ্যোগ গ্রহণ; এবং

(ব) এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, প্রয়োজনীয় ও আনুষঙ্গিক অন্য যে কোনো কার্য সম্পাদন।

   
   
 
কাউন্সিলের সভা   ৭। (১) এই ধারার অন্যান্য বিধানাবলি সাপেক্ষে, কাউন্সিল উহার সভার কার্যপদ্ধতি নির্ধারণ করিতে পারিবে।

(২) সভাপতি কর্তৃক নির্ধারিত স্থান ও সময়ে কাউন্সিলের সভা অনুষ্ঠিত হইবে।

(৩) প্রতি ৬ (ছয়) মাসে কাউন্সিলের অন্যূন ১ (এক) টি সভা অনুষ্ঠিত হইবে এবং জরুরি প্রয়োজনে, যে কোনো সময়ে বিশেষ সভা আহ্বান করা যাইবে।

(৪) কাউন্সিলের সকল সভায় উহার সভাপতি সভাপতিত্ব করিবেন এবং তাহার অনুপস্থিতিতে তৎকর্তৃক মনোনীত কাউন্সিলের কোনো সদস্য সভাপতিত্ব করিবেন।

(৫) কাউন্সিলের মোট সদস্য সংখ্যার অন্যূন এক-তৃতীয়াংশ সদস্যের উপস্থিতিতে সভার কোরাম গঠিত হইবে, তবে মুলতবি সভার ক্ষেত্রে কোনো কোরামের প্রয়োজন হইবে না।

(৬) সভায় উপস্থিত সদস্যদের সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোটে কাউন্সিলের সিদ্ধান্ত গৃহীত হইবে এবং ভোটের সমতার ক্ষেত্রে সভাপতিত্বকারী ব্যক্তির দ্বিতীয় অথবা নির্ণায়ক ভোট প্রদানের ক্ষমতা থাকিবে।

(৭) কেবল কাউন্সিলের কোনো সদস্যপদে শূন্যতা বা কাউন্সিল গঠনে ত্রুটি থাকিবার কারণে কাউন্সিলের কোনো কার্য অথবা কার্যধারা অবৈধ হইবে না, বা কোনো সিদ্ধান্ত বাতিল হইবে না এবং তৎসম্পর্কে কোনো প্রশ্নও উত্থাপন করা যাইবে না।

   
   
 
কাউন্সিলের রেজিস্ট্রার   ৮। (১) কাউন্সিলের একজন রেজিস্ট্রার থাকিবে।

(২) রেজিস্ট্রার রিহ্যাবিলিটেশন প্রাকটিশনারের মধ্য হইতে সরকার কর্তৃক নিযুক্ত হইবেন এবং তাহার চাকরির শর্তাদি সরকার কর্তৃক স্থিরীকৃত হইবে।

(৩) রেজিস্ট্রার কাউন্সিলের এবং নির্বাহী কমিটির সদস্য-সচিব হিসাবে দায়িত্ব পালন ও কার্য সম্পাদন করিবে।

(৪) রেজিস্ট্রার এর পদ শূন্য হইলে কিংবা অনুপস্থিতি, অসুস্থতা বা অন্য কোনো কারণে রেজিস্ট্রার তাঁহার দায়িত্ব পালনে অসমর্থ হইলে উক্ত শূন্য পদে নবনিযুক্ত রেজিস্ট্রার কার্যভার গ্রহণ না করা পর্যন্ত, অথবা রেজিস্ট্রার পুনরায় স্বীয় দায়িত্ব পালনে সমর্থ না হওয়া পর্যন্ত সরকার কর্তৃক মনোনীত কোনো ব্যক্তি রেজিস্ট্রার এর দায়িত্ব পালন করিবে।

   
   
 
কর্মচারী নিয়োগ   ৯। (১) কাউন্সিল, সরকার কর্তৃক অনুমোদিত সাংগঠনিক কাঠামো অনুসারে, প্রয়োজনীয় সংখ্যক কর্মচারী নিয়োগ প্রদান করিতে পারিবে।

(২) কাউন্সিলের কর্মচারীদের চাকরির শর্তাবলি প্রবিধান দ্বারা নির্ধারিত হইবে।

   
   
 
নির্বাহী কমিটি   ১০। (১) কাউন্সিলের একটি নির্বাহী কমিটি থাকিবে।

(২) কাউন্সিলের সভাপতি, রেজিস্ট্রার এবং সদস্যগণের মধ্য হইতে সরকার কর্তৃক, এই ধারার অন্যান্য বিধানাবলি সাপেক্ষে, অনধিক ০৫ (পাঁচ) জন সদস্য সমন্বয়ে নির্বাহী কমিটি গঠিত হইবে।

(৩) কাউন্সিলের সভাপতি নির্বাহী কমিটির চেয়ারপার্সনও হইবেন।

(৪) কাউন্সিলের রেজিস্ট্রার নির্বাহী কমিটির সদস্য-সচিবও হইবেন।

(৫) কাউন্সিলের পরিচালনা ও প্রশাসন নির্বাহী কমিটির উপর ন্যস্ত থাকিবে এবং কাউন্সিল যে সকল ক্ষমতা প্রয়োগ ও কার্য সম্পাদন করিতে পারিবে নির্বাহী কমিটিও সেই সকল ক্ষমতা প্রয়োগ ও কার্য সম্পাদন করিতে পারিবে।

(৬) নির্বাহী কমিটি উহার ক্ষমতা প্রয়োগ, কার্যাবলি সম্পাদন ও সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের জন্য কাউন্সিলের নিকট দায়ী থাকিবে এবং কাউন্সিল কর্তৃক, সময়ে সময়ে, প্রদত্ত নির্দেশনা, আদেশ ও নির্দেশ অনুসরণ করিবে।

   
   
 
কমিটি   ১১। কাউন্সিল উহার কার্যাবলি সুষ্ঠুভাবে সম্পাদনের জন্য, প্রয়োজনবোধে, এক বা একাধিক কমিটি গঠন করিতে পারিবে এবং উক্ত কমিটির দায়িত্ব ও কর্তব্য নির্ধারণ করিতে পারিবে।
   
   
 
কাউন্সিলের তহবিল   ১২। (১) বাংলাদেশ রিহ্যাবিলিটেশন কাউন্সিল তহবিল নামে কাউন্সিলের একটি তহবিল থাকিবে এবং নিম্নবর্ণিত উৎস হইতে প্রাপ্ত অর্থ দ্বারা উক্ত তহবিল গঠিত হইবে, যথা:-

(ক) সরকার কর্তৃক প্রদত্ত অনুদান;

(খ) সরকারের পূর্বানুমোদনক্রমে, কোনো বিদেশি সরকার, সংস্থা, দেশিয় বা আন্তর্জাতিক সংস্থা ও ব্যক্তি হইতে প্রাপ্ত দান, অনুদান ও সহায়তা;

(গ) কোনো স্থানীয় কর্তৃপক্ষ বা ব্যক্তি কর্তৃক প্রদত্ত দান, অনুদান ও সহায়তা;

(ঘ) এই আইনের অধীন আদায়কৃত নিবন্ধন ফি ও পরিদর্শন ফি;

(ঙ) কাউন্সিলের নিজস্ব সম্পত্তি হইতে প্রাপ্ত আয় এবং নিজস্ব বিনিয়োগ হইতে প্রাপ্ত মুনাফা; এবং

(চ) অন্য কোনো বৈধ উৎস হইতে প্রাপ্ত অর্থ।

(২) উপ-ধারা (১) এর অধীন গঠিত তহবিল কাউন্সিল কর্তৃক অনুমোদিত কোনো তপশিলি ব্যাংকে জমা রাখা হইবে এবং বিধি দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতিতে, তবে বিধি প্রণীত না হওয়া পর্যন্ত সরকারি বিধি-বিধান অনুযায়ী, তহবিল পরিচালনা করা যাইবে।

(৩) কাউন্সিলের তহবিল হইতে কাউন্সিলের প্রয়োজনীয় ব্যয় নির্বাহ করা হইবে।

ব্যাখ্যা ।- এই ধারার উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, ‘তপশিলি ব্যাংক’ বলিতে Bangladesh Bank Order, 1972 (President’s Order No. 127 of 1972) এর Article 2(j) তে সংজ্ঞায়িত ‘Scheduled Bank’ কে বুঝাইবে।

   
   
 
রিহ্যাবিলিটেশন শিক্ষা কার্যক্রম রিহ্যাবিলিটেশন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের স্বীকৃতি   ১৩। (১) বিদ্যমান অন্য কোনো আইনের অধীন কোনো কর্তৃপক্ষ হইতে কোনোরূপ অনুমোদন বা স্বীকৃতি প্রাপ্ত হওয়া সত্ত্বেও, এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে রিহ্যাবিলিটেশন শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনাকারী সকল রিহ্যাবিলিটেশন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বা স্বীকৃত প্রতিষ্ঠানকে কাউন্সিলের নিকট হইতে স্বীকৃতি গ্রহণ করিতে হইবে।

(২) উপ-ধারা (১) অনুযায়ী কাউন্সিল কর্তৃক স্বীকৃতি গ্রহণের জন্য রিহ্যাবিলিটেশন শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনাকারী সকল রিহ্যাবিলিটেশন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বা স্বীকৃত প্রতিষ্ঠানকে এই আইন বলবৎ হইবার ১৮০ (একশত আশি) দিনের মধ্যে বিধি দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতিতে কাউন্সিলের নিকট আবেদন করিতে হইবে।

(৩) কাউন্সিল বিধি দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতি ও শর্তপূরণ সাপেক্ষে প্রত্যেক রিহ্যাবিলিটেশন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বা স্বীকৃত প্রতিষ্ঠান কর্তৃক পরিচালিত রিহ্যাবিলিটেশন শিক্ষা কার্যক্রমকে স্বীকৃতি প্রদান করিতে পারিবে।

(৪) উপ-ধারা (১) এর বিধান লঙ্ঘন করিয়া কোনো ব্যক্তি রিহ্যাবিলিটেশন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বা স্বীকৃত প্রতিষ্ঠান কোনো কোর্স বা প্রশিক্ষণ বা শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করিলে অথবা সনদ প্রদান করিলে উহা হইবে এই আইনের অধীন একটি অপরাধ এবং উক্ত অপরাধে জড়িত ব্যক্তি ০২ (দুই) বৎসর পর্যন্ত কারাদণ্ড অথবা অন্যূন ০১ (এক) লক্ষ টাকা হইতে অনূর্ধ্ব ০২ (দুই) লক্ষ টাকা অর্থদণ্ড অথবা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হইবে।

   
   
 
রিহ্যাবিলিটেশন সেবা প্রতিষ্ঠান অথবা রিহ্যাবিলিটেশন সেবা ইউনিট, ইত্যাদির অনুমোদন   ১৪। (১) বিদ্যমান অন্য কোনো আইনের অধীন কোনো কর্তৃপক্ষ হইতে কোনোরূপ অনুমোদন বা স্বীকৃতি প্রাপ্ত হওয়া সত্ত্বেও, রিহ্যাবিলিটেশন সেবা প্রতিষ্ঠান অথবা সেবা ইউনিটের সপ্তম তপশিলে অন্তর্ভুক্ত না থাকিলে উক্ত প্রতিষ্ঠান বা ইউনিটকে এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে কাউন্সিলের নিকট হইতে অনুমোদন গ্রহণ করিতে হইবে।

(২) উপ-ধারা (১) অনুযায়ী কাউন্সিল কর্তৃক অনুমোদন লাভের জন্য বিদ্যমান সকল রিহ্যাবিলিটেশন সেবা প্রতিষ্ঠান বা সেবা ইউনিটকে এই আইন বলবৎ হইবার ১৮০ (একশত আশি) দিনের মধ্যে বিধি দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতিতে কাউন্সিলের নিকট আবেদন করিতে হইবে।

(৩) কাউন্সিল বিধি দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতি ও শর্তপূরণ সাপেক্ষে প্রত্যেক রিহ্যাবিলিটেশন সেবাপ্রতিষ্ঠান বা রিহ্যাবিলিটেশন সেবা ইউনিটকে অনুমোদন প্রদান করিতে পারিবে।

(৪) উপ-ধারা (১) এর বিধান লঙ্ঘন করিয়া কোনো ব্যক্তি কোনো রিহ্যাবিলিটেশন সেবা প্রতিষ্ঠান অথবা রিহ্যাবিলিটেশন সেবা ইউনিট পরিচালনা করিলে উহা হইবে এই আইনের অধীন একটি অপরাধ এবং তৎজ্জন্য তিনি অন্যূন ২ (দুই) বৎসর পর্যন্ত কারাদণ্ড অথবা অন্যূন ০১ (এক) লক্ষ টাকা হইতে অনূর্ধ্ব ০২ (দুই) লক্ষ টাকা পর্যন্ত অর্থদণ্ড অথবা উভয় দণ্ডে দন্ডিত হইবেন।

   
   
 
রিহ্যাবিলিটেশন পেশাজীবীর নিবন্ধন এবং রিহ্যাবিলিটেশন প্রাকটিশনারকে লাইসেন্স প্রদান   ১৫। (১) বিদ্যমান অন্য কোনো আইনের অধীন কোনো কর্তৃপক্ষ হইতে কোনোরূপ নিবন্ধন ও লাইসেন্স প্রাপ্ত হওয়া সত্ত্বেও, রিহ্যাবিলিটেশন পেশাজীবীগণকে এবং রিহ্যাবিলিটেশন প্রাকটিশনারগণকে এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে বিধি দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতিতে কাউন্সিলের নিকট হইতে যথাক্রমে নিবন্ধন ও লাইসেন্স গ্রহণ করিতে হইবে।

(২) উপ-ধারা (১) অনুযায়ী কাউন্সিল কর্তৃক নিবন্ধন বা, ক্ষেত্রমত, লাইসেন্স প্রাপ্তির জন্য রিহ্যাবিলিটেশন পেশাজীবী বা রিহ্যাবিলিটেশন প্রাকটিশনারকে এই আইন বলবৎ হইবার ১৮০ (একশত আশি) দিনের মধ্যে কাউন্সিলের নিকট আবেদন করিতে হইবে।

(৩) কাউন্সিল বিধি দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতি ও শর্তপূরণ সাপেক্ষে প্রত্যেক রিহ্যাবিলিটেশন পেশাজীবী বা রিহ্যাবিলিটেশন প্রাকটিশনারকে যথাক্রমে নিবন্ধন ও লাইসেন্স প্রদান করিতে পারিবে।

(৪) উপ-ধারা (১) এর বিধান প্রতিপালন না করিয়া কোনো ব্যক্তি রিহ্যাবিলিটেশন পেশাজীবী অথবা রিহ্যাবিলিটেশন প্রাকটিশনার হিসাবে পেশা অথবা কার্য পরিচালনা করিলে তিনি অন্যূন ০২ (দুই) বৎসর পর্যন্ত কারাদণ্ড অথবা অন্যূন ০১ (এক) লক্ষ টাকা হইতে অনূর্ধ্ব ০২ (দুই) লক্ষ টাকা পর্যন্ত অর্থদণ্ড অথবা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হইবেন।

   
   
 
বাংলাদেশের বাহিরের প্রতিষ্ঠান কর্তৃক প্রদত্ত রিহ্যাবিলিটেশন শিক্ষাসংক্রান্ত যোগ্যতার স্বীকৃতি   ১৬। (১) বিদেশি কোনো শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হইতে ডিগ্রি, প্রশিক্ষণ অথবা সনদপ্রাপ্ত কোনো ব্যক্তি উক্ত ডিগ্রি, প্রশিক্ষণ অথবা সনদমূলে বাংলাদেশে রিহ্যাবিলিটেশন পেশাজীবী অথবা রিহ্যাবিলিটেশন প্রাকটিশনার হিসাবে পেশা বা কার্য পরিচালনা করিতে আগ্রহী হইলে বা বাংলাদেশে উক্ত ডিগ্রি অথবা সনদ ব্যবহারে আগ্রহী হইলে উক্ত ব্যক্তিকে বিধি দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতিতে কাউন্সিলের নিকট আবেদন করিতে হইবে।

(২) কাউন্সিল বিধি দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতিতে ও শর্ত পূরণসাপেক্ষে উপযুক্ত বিবেচনা করিলে আবেদনকারীকে নিবন্ধন ও, ক্ষেত্রমতে, লাইসেন্স প্রদান করিতে পারিবে।

(৩) উপ-ধারা (১) এর বিধান প্রতিপালন না করিয়া কোনো ব্যক্তি রিহ্যাবিলিটেশন পেশাজীবী অথবা রিহ্যাবিলিটেশন প্রাকটিশনার হিসাবে পেশা অথবা কার্য পরিচালনা করিলে উহা হইবে একটি অপরাধ এবং তজ্জন্য তিনি অন্যূন ০২ (দুই) বৎসর পর্যন্ত কারাদণ্ড অথবা অন্যূন ০১ (এক) লক্ষ টাকা হইতে অনূর্ধ্ব ০২ (দুই) লক্ষ টাকা পর্যন্ত অর্থদণ্ড অথবা উভয় দণ্ডে দন্ডিত হইবেন।

   
   
 
স্বীকৃতি প্রত্যাহার   ১৭। (১) কাউন্সিল কর্তৃক গঠিত বিশেষজ্ঞ কমিটির পরিদর্শন প্রতিবেদনের ভিত্তিতে যদি কাউন্সিলের নিকট প্রতীয়মান হয় যে-

(ক) রিহ্যাবিলিটেশন শিক্ষাসংক্রান্ত স্নাতক অথবা স্নাতকোত্তর যোগ্যতার কোনো ডিগ্রি, ডিপ্লোমা অথবা সনদ প্রদানের জন্য বাংলাদেশের কোনো রিহ্যাবিলিটেশন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কর্তৃক প্রণীত পাঠ্যসূচি অনুযায়ী পরিচালিত পরীক্ষা মানসম্মত হইতেছে না; অথবা

(খ) উক্ত ডিগ্রী ডিপ্লোমা বা সনদ প্রদানের জন্য গৃহীত পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারীদের কাঙ্ক্ষিত ব্যুৎপত্তির মান, নির্ধারিত মানদণ্ড ও নীতিমালার আলোকে সংশ্লিষ্ট যোগ্যতাধারীর জন্য আবশ্যিক জ্ঞান ও দক্ষতা নিশ্চিত হইতেছে না; অথবা

(গ) সরকার প্রদত্ত আদেশ, নির্দেশ, সার্কুলার অথবা নীতিমালা যথাযথভাবে অনুসৃত হইতেছে না;
তাহা হইলে কাউন্সিল যেরূপ যুক্তিসংগত হয় সেইরূপ মন্তব্যসহ উক্ত প্রতিবেদনে উল্লিখিত বিষয়ে তৎকর্তৃক নির্ধারিত সময়ের মধ্যে জবাব পেশ করিবার জন্য সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের নিকট প্রতিবেদনটি প্রেরণ করিবে।

(২) উপ-ধারা (১) অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের পর কাউন্সিল উহার বিবেচনায় প্রয়োজনীয় অনুসন্ধান সাপেক্ষে সংশ্লিষ্ট রিহ্যাবিলিটেশন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের স্বীকৃতি বা স্থগিত বা প্রত্যাহার করিতে পারিবে।

   
   
 
কাউন্সিল কর্তৃক রিহ্যাবিলিটেশন পেশাজীবীদের নিবন্ধনবহি সংরক্ষণ, ইত্যাদি   ১৮। (১) কাউন্সিল রিহ্যাবিলিটেশন পেশাজীবীদের নিবন্ধন করত প্রবিধান দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতিতে সংশ্লিষ্ট নিবন্ধন বহিতে (Register) অন্তর্ভুক্ত করিবে এবং উক্ত নিবন্ধনসমূহ তৎকর্তৃক নির্ধারিত পদ্ধতিতে যথাযথভাবে প্রকাশ এবং স্থায়ীভাবে সংরক্ষণ ও প্রতিনিয়ত হালনাগাদ করিবে।

(২) রিহ্যাবিলিটেশন পেশাজীবীদের নিবন্ধনের শর্ত, নিবন্ধনের প্রক্রিয়া, কোনো বাধ্যতামূলক প্রশিক্ষণ, ইন্টার্নশিপ অথবা এতৎসংক্রান্ত বিষয়াদি কাউন্সিল কর্তৃক নির্ধারিত হইবে।

   
   
 
রিহ্যাবিলিটেশন পেশাজীবীগণ কর্তৃক ব্যবহার্য পদবি, ডিগ্রি, চিহ্ন, ইত্যাদি   ১৯। রিহ্যাবিলিটেশন পেশাজীবী নামের পূর্বে অথবা পরে কী রূপ পদবি, চিহ্ন, ডিগ্রি, বর্ণনা ব্যবহার করিবে তাহা কাউন্সিল কর্তৃক নির্ধারিত হইবে।
   
   
 
মিথ্যা উপাধি, ডিগ্রি, চিহ্ন অথবা বর্ণনা ব্যবহার নিষিদ্ধ এবং উহার দণ্ড   ২০। (১) বাংলাদেশের অভ্যন্তরের অথবা বাহিরের কোনো আইনানুগ কর্তৃপক্ষ কর্তৃক অনুমোদিত না হওয়া সত্ত্বেও কোনো নিবন্ধিত রিহ্যাবিলিটেশন পেশাজীবী কাউন্সিল কর্তৃক নির্ধারিত নহে এইরূপ কোনো নাম, উপাধি, বর্ণনা অথবা চিহ্ন ব্যবহার অথবা প্রকাশ করিতে পারিবে না যাহাতে কোনো ব্যক্তির এইরূপ ধারণা জন্মে যে তিনি অতিরিক্ত অথবা অন্যবিধ কোনো পেশাগত যোগ্যতার অধিকারী।

(২) উপ-ধারা (১) এর বিধান প্রতিপালন না করিয়া কোনো ব্যক্তি যদি কোনো নাম, উপাধি, বর্ণনা অথবা চিহ্ন ব্যবহার অথবা প্রকাশ করেন তাহা হইলে উহা হইবে একটি অপরাধ এবং তজ্জন্য তিনি অন্যূন ০২ (দুই) বৎসর পর্যন্ত কারাদণ্ড অথবা অন্যূন ০১ (এক) লক্ষ টাকা হইতে অনূর্ধ্ব ০২ (দুই) লক্ষ টাকা পর্যন্ত অর্থদণ্ড অথবা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হইবে, এবং তাহার নিবন্ধন ও লাইসেন্স বাতিল হইবেন।

   
   
 
নিবন্ধন ব্যতীত মিথ্যা অথবা নকল ডিগ্রি ব্যবহার নিষিদ্ধ এবং উহার দণ্ড   ২১। কোনো ব্যক্তি এই আইনের অধীন নিবন্ধিত না হইয়া অথবা স্বীকৃত যোগ্যতা অর্জন না করিয়া যদি রিহ্যাবিলিটেশন পেশাজীবী হিসাবে ভুয়া সনদ ব্যবহার করেন অথবা পেশা বা কার্য পরিচালনা করেন অথবা মিথ্যা বা নকল ডিগ্রি অথবা সনদ ব্যবহার করেন, তাহা হইলে উহা হইবে একটি অপরাধ এবং তজ্জন্য তিনি অন্যূন ০৭ (সাত) বৎসর পর্যন্ত কারাদণ্ড অথবা অন্যূন ০১ (এক) লক্ষ টাকা হইতে অনূর্ধ্ব ০২ (দুই) লক্ষ টাকা পর্যন্ত অর্থদণ্ড অথবা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হইবেন।
   
   
 
নিবন্ধন বহি (Register) হইতে নাম কর্তন অথবা নিবন্ধন বাতিল   ২২। (১) যদি কাউন্সিলের নিকট প্রতীয়মান হয় যে-

(ক) কোনো নিবন্ধিত রিহ্যাবিলিটেশন পেশাজীবী কর্তৃক দাখিলকৃত সনদ মিথ্যা বা নকল বা ভুয়া; অথবা

(খ) রিহ্যাবিলিটেশন পেশাজীবী চারিত্রিক স্খলনজনিত কোনো অপরাধে সাজা প্রাপ্ত; অথবা

(গ) অনুসরণীয় আচরণ নীতিমালা লঙ্ঘনের জন্য কাউন্সিল কর্তৃক সাজা প্রাপ্ত; অথবা

(ঘ) শারীরিক অথবা মানসিক অসুস্থতা অথবা অন্যবিধ কারণে পেশাগত কার্য পরিচালনায় অনুপযুক্ত;

তাহা হইলে কাউন্সিল তাহাকে প্রযোজ্য ক্ষেত্রে শুনানির সুযোগ প্রদান করিয়া নিবন্ধন বহি হইতে তাহার নিবন্ধন সাময়িক অথবা স্থায়ীভাবে বাতিল করিতে পারিবে, এবং কোনো রিহ্যাবিলিটেশন পেশাজীবীর নিবন্ধন বাতিল করা হইলে রিহ্যাবিলিটেশন প্র্যাকটিশনার হিসাবে তাহার লাইসেন্সটিও স্বয়ংক্রিয়ভাবে বাতিল হইবে।

(২) উপ-ধারা (১) এর অধীন কোনো ব্যক্তির স্থায়ীভাবে অথবা সাময়িকভাবে বাতিলকৃত নিবন্ধন কাউন্সিল তাহার আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে যথোপযুক্ত বিবেচনা করিলে পরবর্তীকালে পুনর্বহাল করিতে পারিবে।

(৩) কোনো রিহ্যাবিলিটেশন পেশাজীবী স্থায়ী বা সাময়িকভাবে নিবন্ধন বাতিলের জন্য আবেদন করিলে, কাউন্সিল উপযুক্ত বিবেচনা করিলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করিতে পারিবে।

   
   
 
আপিল   ২৩। (১) এই আইনের অধীন কাউন্সিল কর্তৃক গৃহীত কোনো সিদ্ধান্ত বা আদেশে কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান সংক্ষুব্ধ হইলে বিধি দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতিতে সরকারের নিকট আপিল করিতে পারিবে।

(২) উপ-ধারা (১) এর অধীন আপিল আবেদনের বিষয়ে সরকার বিধি দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতিতে সিদ্ধান্ত প্রদান করিবে এবং এই বিষয়ে সরকারের সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত বলিয়া গণ্য হইবে।

   
   
 
রিহ্যাবিলিটেশন পেশাজীবীর মৃত্যুসংক্রান্ত তথ্যাদি অবহিতকরণ   ২৪। কোনো রিহ্যাবিলিটেশন পেশাজীবী মৃত্যুবরণ করিলে মৃত্যু নিবন্ধনের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রত্যেক ব্যক্তি সংশ্লিষ্ট রিহ্যাবিলিটেশন পেশাজীবীর মৃত্যুর তারিখ ও স্থানসহ বিস্তারিত বিবরণী সংবলিত এবং স্বাক্ষরিত একটি মৃত্যু সনদ অবিলম্বে ডাকযোগে, ই-মেইল অথবা অন্য কোনো ইলেকট্রনিক মাধ্যমে কাউন্সিলের রেজিস্ট্রারের নিকট প্রেরণ করিবে, এবং তৎভিত্তিতে মৃত ব্যক্তির নাম রেজিস্টার হইতে কর্তন করা যাইবে।
   
   
 
রেজিস্টারসমূহ সরকারি দলিল   ২৫। কাউন্সিল কর্তৃক প্রণীত ও সংরক্ষিত রেজিস্টারসমূহ Evidence Act, 1872 (Act 1 of 1872) এর অধীন সরকারি দলিল বলিয়া গণ্য হইবে।
   
   
 
বাজেট   ২৬। (১) কাউন্সিল প্রতি বৎসর, ৩০ জুনের পূর্বে পরবর্তী অর্থ বৎসরের বাৎসরিক বাজেট বিবরণী প্রস্তুত করিবে এবং উহাতে উক্ত অর্থ বৎসরের সম্ভাব্য আয় ও ব্যয়সহ পরিকল্পনা গ্রহণ সংক্রান্ত তথ্যাদি উল্লেখ থাকিবে।

(২) উপ-ধারা (১) এর অধীন প্রস্তুতকৃত বাজেট কাউন্সিলের সভায় অনুমোদিত হইবার পর উহা সরকারের নিকট পেশ করিতে হইবে।

   
   
 
হিসাবরক্ষণ নিরীক্ষা   ২৭। (১) কাউন্সিল যথাযথভাবে উহার হিসাব রক্ষণ করিবে এবং হিসাবের বার্ষিক বিবরণী প্রস্তুত করিবে।

(২) বাংলাদেশের মহা হিসাব-নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রক, অতঃপর মহা হিসাব-নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রক বলিয়া অভিহিত, প্রতি বৎসর কাউন্সিলের হিসাব নিরীক্ষা করিবেন এবং নিরীক্ষা প্রতিবেদনের একটি করিয়া কপি সরকার ও কাউন্সিলের নিকট পেশ করিবেন।

(৩) উপ-ধারা (২) এর অধীন হিসাব নিরীক্ষার উদ্দেশ্যে মহা হিসাব-নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রক কাউন্সিলের সকল রেকর্ড, দলিল ও কাগজপত্র, নগদ বা ব্যাংকে গচ্ছিত অর্থ, জামানত, ভাণ্ডার এবং অন্যবিধ সম্পত্তি পরীক্ষা করিয়া দেখিতে পারিবেন এবং রেজিস্ট্রার ও উহার যে কোনো সদস্য বা কর্মচারীকে জিজ্ঞাসাবাদ করিতে পারিবেন।

   
   
 
প্রতিবেদন   ২৮। (১) কাউন্সিল, প্রতি বৎসর, তৎকর্তৃক সম্পাদিত কার্যাবলির বিবরণ সংবলিত একটি প্রতিবেদন পরবর্তী বৎসরের ৩০ জুনের মধ্যে সরকারের নিকট পেশ করিবে।

(২) সরকার, যে কোনো সময়, কাউন্সিলের নিকট উহার যে কোনো বিষয়ের উপর প্রতিবেদন বা বিবরণী তলব করিতে পারিবে এবং কাউন্সিল উহা সরকারের নিকট সরবরাহ করিতে বাধ্য থাকিবে।

   
   
 
অপরাধ বিচারার্থ গ্রহণ বিচার   ২৯। (১) অন্য কোনো আইনে যাহা কিছুই থাকুক না কেন, এই আইনের অধীন অপরাধ সংঘটনের বিষয়ে সরকার অথবা কাউন্সিল কর্তৃক এতদুদ্দেশ্যে ক্ষমতাপ্রাপ্ত ব্যক্তির এবং প্রযোজ্য ক্ষেত্রে সংক্ষুব্ধ ব্যক্তির লিখিত অভিযোগ ব্যতীত কোনো আদালত এই আইনের অধীন কোনো অপরাধ বিচারার্থ গ্রহণ করিবে না।

(২) এই আইনের অধীন অপরাধসমূহ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট বা, ক্ষেত্রমত, মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট কর্তৃক বিচার্য হইবে।

(৩) এই আইনের অধীন কোনো অপরাধের অভিযোগ দায়ের, তদন্ত, বিচার, আপিল ও সংশ্লিষ্ট অন্যান্য বিষয়ে ফৌজদারি কার্যবিধির বিধানাবলি প্রযোজ্য হইবে।

   
   
 
অর্থদণ্ড সংক্রান্ত বিশেষ বিধান   ৩০। ফৌজদারি কার্যবিধিতে ভিন্নতর যাহা কিছুই থাকুক না কেন, কোনো ব্যক্তির উপর এই আইনের অধীন অর্থদণ্ড আরোপের ক্ষেত্রে জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট বা, ক্ষেত্রমত, মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট এই আইনে উল্লিখিত অর্থদণ্ড আরোপ করিতে পারিবে।
   
   
 
মোবাইল কোর্ট আইন, ২০০৯ এর প্রয়োগ   ৩১। আপাতত বলবৎ অন্য কোনো আইনে যাহা কিছুই থাকুক না কেন, এই আইনের অধীন সংঘটিত অপরাধের ক্ষেত্রে, মোবাইল কোর্ট আইন, ২০০৯ (২০০৯ সালের ৫৯ নং আইন) এর তপশিলভুক্ত হওয়া সাপেক্ষে, মোবাইল কোর্ট দণ্ড আরোপ করিতে পারিবে।
   
   
 
বিধি প্রণয়নের ক্ষমতা   ৩২। এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, সরকার, সরকারি গেজেট প্রজ্ঞাপন দ্বারা, বিধি প্রণয়ন করিতে পারিবে।
   
   
 
প্রবিধান প্রণয়নের ক্ষমতা   ৩৩। (১) এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, কাউন্সিল, সরকারের পূর্বানুমোদনক্রমে, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, এই আইন বা বিধির সহিত অসংগতিপূর্ণ নহে এইরূপ প্রবিধান প্রণয়ন করিতে পারিবে।

(২) উপ-ধারা (১) এ প্রদত্ত ক্ষমতার সামগ্রিকতাকে ক্ষুণ্ণ না করিয়া, নিম্নবর্ণিত সকল বা যে কোনো বিষয়ে প্রবিধান প্রণয়ন করা যাইবে, যথা:-

(ক) স্নাতক ও স্নাতকোত্তর পর্যায়ের রিহ্যাবিলিটেশন বিষয়ক শিক্ষাগত যোগ্যতার কোর্স, কারিকুলাম এবং অভিন্ন ন্যূনতম মান ও মেয়াদ নির্ধারণ;

(খ) রিহ্যাবিলিটেশন শিক্ষা বিষয়ক ডিপ্লোমা, অন্যান্য কোর্স ও প্রশিক্ষণসমূহের কোর্স, কারিকুলাম এবং অভিন্ন ন্যূনতম মান ও মেয়াদ নির্ধারণ;

(গ) রিহ্যাবিলিটেশন শিক্ষা বিষয়ক সকল পর্যায়ের কোর্সসমূহের ভর্তির যোগ্যতা ও শর্তাদি নির্ধারণ;

(ঘ) রিহ্যাবিলিটেশন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমূহে শিক্ষক নিয়োগের ন্যূনতম যোগ্যতা, অভিজ্ঞতা ও শর্তাদি নির্ধারণ;

(ঙ) রিহ্যাবিলিটেশন শিক্ষা বিষয়ক ও প্রাকটিশনারের লাইসেন্স প্রাপ্তির সকল পরীক্ষা পরিচালনার পদ্ধতি ও মান নির্ধারণ;

(চ) রিহ্যাবিলিটেশন শিক্ষা বিষয়ক পেশাগত সকল পরীক্ষার পরীক্ষকগণের যোগ্যতা ও শর্তাদি নির্ধারণ;

(ছ) রিহ্যাবিলিটেশন পেশাজীবী প্রত্যেকের জন্য পৃথক ব্যক্তিগত নথি ও ইলেট্রনিক নিবন্ধন বহি (Registers) প্রণয়ন, সংকলন, রক্ষণাবেক্ষণ ও হালনাগাদকরণ এবং নিবন্ধনসমূহ (Registers) প্রকাশ, সংরক্ষণ এবং হালনাগাদকরণের পদ্ধতি;

(জ) সকল রিহ্যাবিলিটেশন পেশাজীবীর নিবন্ধন এবং লাইসেন্সযোগ্য রিহ্যাবিলিটেশন প্রাকটিশনারকে পরীক্ষা গ্রহণপূর্বক লাইসেন্স প্রদান সংক্রান্ত প্রক্রিয়া, পদ্ধতি, যোগ্যতা, শর্তাদি, ফি ও নবায়ন এবং এই সংক্রান্ত সামগ্রিক বিষয়াদি;

(ঝ) সকল রিহ্যাবিলিটেশন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নিবন্ধন ও স্বীকৃতি প্রদান সংক্রান্ত প্রক্রিয়া, পদ্ধতি, শর্তাদি, ফি ও নবায়ন সংক্রান্ত বিষয়াদি এবং এতৎসংক্রান্ত তালিকা সংরক্ষণ সংক্রান্ত বিষয়াদি;

(ঞ) সকল রিহ্যাবিলিটেশন পেশাজীবী, রিহ্যাবিলিটেশন সেবা প্রতিষ্ঠান অথবা রিহ্যাবিলিটেশন সেবা ইউনিটের নিবন্ধন ও অনুমোদন প্রক্রিয়া, পদ্ধতি, শর্তাদি, ফি ও নবায়ন সংক্রান্ত বিষয়াদি এবং এতৎসংক্রান্ত তালিকা সংরক্ষণ সংক্রান্ত বিষয়াদি;

(ট) কাউন্সিলের সম্পদ ব্যবস্থাপনা, উহার হিসাব রক্ষণাবেক্ষণ এবং নিরীক্ষা ব্যবস্থাপনা;

(ঠ) কাউন্সিলের সভা অনুষ্ঠান ও আহ্বান, সভা অনুষ্ঠানের স্থান ও সময়, সভার কার্যাবলি পরিচালনা সংক্রান্ত বিষয়াদি;

(ড) কমিটি গঠন, নির্বাহী কমিটি ও অন্যান্য কমিটির সভা আহ্বান, অনুষ্ঠান, কার্য পরিচালনা, কোরাম নির্ধারণ সংক্রান্ত বিষয়াদি;

(ঢ) কাউন্সিলের কর্মচারীর ক্ষমতা, দায়িত্ব, কর্তব্য ও মেয়াদ সংক্রান্ত বিষয়াদি;

(ণ) কোনো রিহ্যাবিলিটেশন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও রিহ্যাবিলিটেশন সেবা প্রতিষ্ঠান অথবা রিহ্যাবিলিটেশন সেবা ইউনিট যে-কোনো সময় পরিদর্শনে পরিদর্শকগণের মনোনয়ন, ক্ষমতা, দায়িত্ব ও নিয়োগ পদ্ধতি;

(ত) এই আইনের অধীন সংঘটিত সকল ধরনের অপরাধ, অনিয়ম, ব্যত্যয়সমূহের অনুসন্ধান, এবং অন্যান্য আইনানুগ কার্যক্রম গ্রহণ সংক্রান্ত বিষয়াদি;

(থ) সকল রিহ্যাবিলিটেশন পেশাজীবীর জন্য অনুসরণীয় আচরণ নীতিমালা প্রণয়ন;

(দ) পেশাজীবীদের মধ্যে কোনো ধরনের রিহ্যাবিলিটেশন টেকনোলজিস্ট অথবা রিহ্যাবিলিটেশন টেকনিশিয়ান কোনো ধরনের রিহ্যাবিলিটেশন প্রাকটিশনারের তত্ত্বাবধানে পেশা অথবা কার্য পরিচালনা করিবেন তাহা নির্ধারণ;

(ধ) সকল রিহ্যাবিলিটেশন পেশাজীবীর জন্য পরামর্শ অথবা সেবা প্রদানের ফি এর হার নির্ধারণ;

(ন) কাউন্সিলের কর্মচারীদের চাকরি প্রবিধান প্রণয়ন;

(প) রিহ্যাবিলিটেশন পেশাজীবীদের পদবি নির্ধারণ; এবং

(ফ) প্রবিধান দ্বারা নির্ধারণযোগ্য অন্যান্য বিষয়।

   
   
 
তফশিল সংশোধন   ৩৪। সরকার, সময়ে সময়ে, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, তপশিল সংশোধন করিতে পারিবে।
   
   
 
অস্পষ্টতা দূরীকরণ   ৩৫। এই আইনের কোনো বিধান কার্যকর করিবার ক্ষেত্রে কোনো অস্পষ্টতার উদ্ভব হইলে, সরকার, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, এই আইনের বিধানাবলির সহিত সংগতিপূর্ণ হওয়া সাপেক্ষে উক্ত অস্পষ্টতা দূর করিতে পারিবে।
   
   
 
ক্ষমতা অর্পণ   ৩৬। কাউন্সিল, এই আইনের অধীন উহার উপর অর্পিত যে কোনো ক্ষমতা বা দায়িত্ব, প্রয়োজনবোধে, তদকর্তৃক নির্ধারিত শর্তসাপেক্ষে, লিখিতভাবে সাধারণ বা বিশেষ আদেশ দ্বারা, কাউন্সিলের সদস্য, নির্বাহী কমিটির সদস্য বা কাউন্সিলের যে কোনো কর্মচারীকে অর্পণ করিতে পারিবে।
   
   
 
ইংরেজিতে অনূদিত পাঠ প্রকাশ   ৩৭। (১) এই আইন প্রবর্তনের পর সরকার, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, এই আইনের ইংরেজিতে অনূদিত একটি নির্ভরযোগ্য পাঠ (Authentic English Text) প্রকাশ করিবে।

(২) বাংলা ও ইংরেজি পাঠের মধ্যে বিরোধের ক্ষেত্রে বাংলা পাঠ প্রাধান্য পাইবে।

   
   
   
 
 
 

 

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here