মায়ের অবদানের কথা শেষ হবে না যতই বলি
স্বীকার করি বা না করি তাঁর আশীর্বাদ নিয়েই চলি
রাখলো পেটে সহ্য করলো যন্ত্রনা সে হাজার রকম
মায়ের অবদানের কথা যতই বলি হবে যে কম
ভূমিষ্ঠ আমায় করার কালে কী যন্ত্রণা ভোগ করিলো
মুখটা আমর দেখার পরে সব ভুলে মা হেসে দিলো
ডায়বেটিসের রোগী নই তো তবুও মুতি বারে বারে
কী যে সহ্য, রাগে না মা শোয়ায় নিজে সরে সরে
হাগুর কথা পারিনা বলতে বমি করি ক্ষণে ক্ষণে
ছাপ করে মা হাসি মুখে রাগে না মা মনে মনে
খিদের কথা বলতে হয় না মুখটা নিয়ে বুকের কাছে
মুখে পুরে দুধের বোটা যেখানে মোর খাদ্য আছে
সময় জ্ঞান ছিলো না মোর উঠতাম জেগে কেদে কেদে
বিরক্ত কভু হতো না মায় আমার হাজার জ্বালার ক্ষেদে
কথা বলতে পারতাম না আমাকে মা সব শিখালো
নিজের হাতেই আস্তে আস্তে জ্বালিয়ে দিলো জ্ঞানের আলো
হাতটা ধরে হাটতে শিখায় হাটি হাটি পা পা বলে
আকাশ বাতাশ বৃক্ষ চেনায় পড়া শেখায় খেলার ছলে
আছার খেলে যতটা ব্যথা পেতাম আমি কষ্ট যত
দৌড়ে এসে তুলতো মায়ে আমার দ্বিগুন কষ্ট পেতো
আগলে রাখতো মা যে আমায় মহীয়সীর ছিলো কত গুন
মাটিতে রাখেনি পিপড়ায় কাটবে মাথায় রাখেনি কাটবে উকুন
মায়ের যতটা দুধ খেয়েছি হিসাব কেউ করতো কভু
তাইতো বলি পৃথিবীতে মা যে শ্রেষ্ঠ বলছে প্রভু
ধর্ম বলে স্বর্গ আছে তাইতো মায়ের পদতলে
সত্যি কথা বুঝছি এখন ধর্ম নাহি মিথ্যা বলে
মায়ের কথা লিখতে শুরু করলে পরে শেষ হবে না
সব জলকে করলে কালি দুনিয়াতে জল রবে না
জুয়েল আজ অভাগা বড় মমতাময়ী ছিলো একদিন
দশজনমেও শোধ করিতে পারবে না সে মায়েরই ঋণ।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here