রওশনারা বেগম ও আবদুর রশীদ খানের কনিষ্ঠ পুত্র আসাদুজ্জামান জুয়েল। ১৯৭৮ সালের ০৫ জুন শরীয়তপুর জেলার পালং থানার পালং গ্রামে জন্ম। শিক্ষা জীবন শুরু মায়ের হাত ধরে। আইন বিষয়ে স্নাতকোত্তর (এলএল.এম)। ২০০৯ সালের ০৮ ডিসেম্বর বাংলাদেশ বার কাউন্সিলে আইনজীবী হিসাবে তালিকাভূক্ত হন। ঢাকা বার এসোসিয়েশন ও শরীয়তপুর জেলা আইনজীবী সমিতির সদস্য। আইন পেশা ও লেখালিখির সাথে যুক্ত। দীর্ঘ সাংবাদিকতা জীবনে দৈনিক ভোরের কাগজ, দৈনিক প্রথম আলো, দৈনিক কালের কন্ঠসহ বিভিন্ন জাতীয় দৈনিকে ও সাপ্তাহিকে কাজ করেছেন। প্রকাশিত বইয়ের সংখ্যা চার। প্রথম উপন্যাস ‘যেমন আছি লন্ডনে’ প্রকাশিত হয় ২০১২ সালের একুশে বই মেলায়। ‘কলকাতা ভ্রমণ ॥ জীবনে প্রথম কিছু’,‘ হৃদয়ের শব্দক্ষরণ’ ও ‘সমকালীন ভাবনা’ প্রকাশিত হয় ২০১৯ সালের একুশে বইমেলায়। লেখালিখি করেন বিভিন্ন ব্লগে। ‘সরল মানুষ-সহজ কথা’ব্যানারে নিয়মিত কলাম লেখেন। শরীয়তপুর জেলা আইনজীবী সমিতির কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য ও লাইব্রেরী সম্পাদক হিসাবে একাধিকবার দায়িত্ব পালন করেছেন। শরীয়তপুর জেলা আইনজীবী সমিতি ও বাংলাদেশ রেডক্রিসেন্ট সোসাইটি, শরীয়তপুর জেলা ইউনিটের জীবন সদস্য। বিভিন্ন তফসিলী ব্যাংকের আইন উপদেষ্টা হিসাবে কাজ করেন। গরীব-দুঃখীদের মামলা পরিচালনার জন্য জাতীয় আইনগত সহায়তা প্রদান সংস্থা শরীয়তপুরের প্যানেল আইনজীবী হিসাবে দুস্থ্যদের আইনগত সহায়তা প্রদান কাজে নিষ্ঠার সাথে জড়িত। বাংলাদেশ বার কাউন্সিল ও অস্ট্রেলিয়ান বার এসোসিয়েশনের উদ্যোগে ইনটেনসিভ ট্রায়েল এডভোকেসী ওয়ার্কশপসহ পেশাগত উৎকর্ষ সাধনের জন্য বিভিন্ন প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেছেন। লেখালিখি ছাড়াও বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক সংগঠনের সাথে নিজেকে জড়িয়ে সমাজ সংস্কারে একজন কর্মী হিসেবে কাজ করে যাচ্ছেন। আসাদুজ্জামান জুয়েলের অর্ধপ্রাণ তার কন্যা রওশন আসাদ প্রিয়ন্তী। সহধর্মীনি মুনমুন সুলতানা লুনা পেশায় শিক্ষিকা। বোন রেহানা আক্তার রেখা গৃহিনী ও কহিনুর আক্তার শিখা সরকারী চাকুরিজীবী এবং একমাত্র ভাই মোহাম্মদ রুহুল আমীন খান আজাদ একজন প্রবাসী। মা হারা আসাদুজ্জামান জুয়েলের বাবা আবদুর রশীদ খান শরীয়তপুরের একজন ভাষা সৈনিক।